মদ কেনার জন্য ৫০০ টাকা চাওয়া নিয়ে বচসা। তার জেরে বাবা-ছেলে মিলে এক নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে খুন করল। এই ঘটনায় নির্মাণ কর্মীকে খুনের অভিযোগে বাবা ছেলে সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের লাতুরের আজাদ চক এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়🤡নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত নির্মাণ শ্রমিকের নাম ভাজার আয়ুব শেখ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে নিহত শ্রমিকের পরিবারেꦅ। খুনের ঘটনায় তারা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গৌরী লঙ্কেশ হꦯত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত জামিন পেতেই যোগ শিবসেনায়,ভোটের মুখে বিতর্কে NDA
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। আয়ুব শেখ আজাদ চক এলাকারই বাসিন্দা। তিনি বেশ কয়েকবছর ধরেই নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আয়ুবের কাছে মদ কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল সাজিদ গাদেশ্বর নামে এক ব্যক্তি। তবে তাকে টাকা না দেওয়ায় দুজনের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। তা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। তখন তার দুই পুত্র আসলাম ও আভেজ বাবার সঙ্গে যোগ দিয়ে আয়ুবকে মারধর করতে শ🌺ুরু করে তারা। এরপর তিনজনে মিলে আয়ুবকে বেধড়ক মারধর করে।
আউসা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার আজাদ চকের একটি লেকের কাছে সাজিদ, আসলাম এবং আভেজ গাদেশ্বর ভাজার আয়ুবকে বেধড়ক মারꦏধর করে। তিনজনে মিলে তাকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি কিল, ঘুষি মারতে থাকে। একা তিন জনের সঙ্গে পেরে না ওঠায় একসময় মাটিতে লুকিয়ে পড♏়েন আয়ুব। তখন গুরুতর আহত অবস্থায় আয়ুবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এদিকে, খুনের পরেই অভিযুক্তরা একালা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপরই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তখন সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শুধুমাত্র টাকা চাওয়ার জেরেই এই খুন নাকি এই খুনের পিছনে পুরনো শ🐼ত্রুতা রয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিশেষ করে তারা এলে অপরকে আগে থেকে চিনত কি না তা জানতে স্থানীয় এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত🐷ের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।