ღ খারিজ হয়ে গেল মহম্মদ জুবায়েরের জামিনের আবেদন। জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালতের তরফে এই সাংবাদিককে পাঠানো হল ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এদিন মহম্মদ জুবায়েরের জামিনের শুনানি চলাকালীন পুলিশ অভিযোগ করে যে জুবায়ের ‘রেজরপে’ গেটওয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পেয়েছেন। এই আবহে তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৫ নম্বর ধারা অমান্যেরও অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ ধ্বংস করার অভিযোগেও নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে জুবায়েরের বিরুদ্ধে। এই আবহে সাংবাদিককে জামিন দিল না আদালত।
ꩵ এর আগে বৃহস্পতিবার ইন্টিলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনের চার সদস্যের একটি দল বেঙ্গালুরুতে মহম্মদ জুবায়েরের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে জুবায়েরের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, তদন্তে সহায়তা করছেন না জুবায়ের। সেই ল্যাপটপ খতিয়ে দেখার পর আদালতে জুবায়েরের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগের কথা জানাল দিল্লি পুলিশ।
ꦓ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের একটি টুইটের প্রেক্ষিতে এই সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করে গত সোমবার। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের টুইটে জুবায়ের লিখেছিলেন, ‘২০১৪ সালের আগে: হানিমুন হোটেল, ২০১৪ সালের পর হনুমান হোটেল।’ এই টুইটের প্রেক্ষিতে জুবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক টুইটার ব্যবহারকারী। অভিযোগকারীর অভিযোগ, হনুমানজি যেহেতু ব্রহ্মচারী, তাঁর সঙ্গে হানিমুন যুক্ত করে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এই আবহে অভিযুক্তের ইলেকট্রনিক ডিভাইস চাইছে পুলিশ। তবে জুবায়ের নাকি পুলিশকে নিজের ডিভাইস দিতে অস্বীকার করেন। এই আবহে নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের অধীনেও মামলা হয়েছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তার আগে থেকে জুবায়েরের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ (ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ২৯৫-এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কাজ) ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল।