🍸 সীমান্তে এলএসি বরাবর নিজের মতো করে সেনার শক্তি বাড়ানো কিম্বা পরিকাঠামো উন্নয়নের মতো কাজ করে যাচ্ছে চিন। নিঃসাড়েই এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে তুলে ধরেছে ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র একটি রিপোর্ট। ভারতের সঙ্গে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে চিন নিঃসাড়ে এই কাজ চালাচ্ছে। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত থেকে পূর্ব লাদাখ পর্যন্ত এলাকার এলএসি জুড়ে চিন নিজের মতো করে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বলে খবর।
💎সদ্য বেজিংয়ে-এ ভারতের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক হয় চিনের। সেখানে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। দুই পক্ষের আলোচনায়, ফের চিন-ভারত সরাসরি বিমান চলাচল শুরুতে সায় দেওয়ার বার্তা এসেছে। এদিকে, গত ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের ‘ডিস এনগেজমেন্ট’ শুরু হয়েছে। এসবের মাঝেই চিন সীমান্ত বরাবর শক্তি বাড়াচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, পূর্ব প্রান্তে রোংতোচু ও বহু উপত্যকায় চিন কাজ করে চলেছে। অরুণাচল প্রদেশের তাওংয়ের দিক থেকে চিনের ইয়াংতসে এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত দিক থেকে। সেই জায়গায় নজরদারির ক্ষেত্রে ভারতের সুবিধাজনক দিক হল, ভারতীয় অংশে রয়েছে উপত্যকার উঁচু দিক। ফলে সেখান থেকে চিনের তুলনামূলক ওই নিচু অংশ এতদিন ভারত নজর রাখত। এবার তার পাল্টা হিসাবে, একাধিক প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছে চিন। সেখানে সেনা ছাউনি ও কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হচ্ছে সংলগ্ন এলাকায়। বেশ কয়েকটি কাঁচা মাটির রাস্তাও বানিয়েছে লালফৌজ। যদি সেখানে আরও সেনা ট্রুপের দরকার হয়, তার জন্যই ওই পথ তৈরি করা হয়েছে।
♊রিপোর্ট বলছে, গাইডলাইন অনুযায়ী, উত্তরের সীমান্তের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রোটোকল আর সমঝোতা রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সেক্ষেত্রে নিয়ম আর সমঝোতা কেউ লঙ্ঘন করতেই তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরা হবে। স্যাটেলাইটের ছবি বলছে, চিন তার সীমান্তে লামপুগ থেকে তাংগু পর্যন্ত নতুন ২ টো রাস্তা তৈরি করছে। ইংয়াৎসে এলাকা জুড়ে তাদের বহু প্রজেক্ট চলছে। মূলত, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, পূর্ব সিকিম, অরুণাচল, এই সমস্ত জায়গাকে টার্গেট করে চিন রাস্তা বানাচ্ছে, ব্রিজ তৈরি করছে, হেলিপ্যাড তৈরি করে যাচ্ছে। এমনই ইঙ্গিত উঠে আসছে রিপোর্ট থেকে।