মণিপুরের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। দুই না🌌রীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে বিরোধীরা বার বার দাবি তুলেছেন অবিলম্বে মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা করতে হবে সংসদে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার জানিয়েছেন, সরকার এই ইস্যুতে আলোচনা করতে তৈরি। এই আলোচনা যাতে হয় সেব্যাপারে আপনারা সুযোগ করে দিন। বিরোধীদের বার্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
এদিন সংসদ মুলতুবি হওয়ার আগে স্পিকার ওম বিড়লা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এনিয়ে বক্তব্য রাখার জন্য আহ্বান করেন। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, আমি হাউজে এনিয়ে কথা বলতে রাজি। কিন্তু কেন বিরোধীরা এনিয়ে আলোচনা করতে দিতে চাইছেন না সেটা বুঝতে পা♍রছি না। বিরোধী দলনেতাকে অনুরোধ করছি এই ইস্যুতে নিয়ে যাতে আলোচনা হয় তার ব্যবস্থা করে দিন। এই সংবেদনশীল ঘটনার পেছনের সত্যটা জানতে চাইছেন দেশবাসী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানিয়েছেন, সরকার মণিপুর ইস্যু নিয়ে কথা বলতে রা🀅জি। কিন্তু বিরোধীরা আমাদের কথা শুনতে রাজি নন। আমার মনে হচ্ছে বিরোধীরা এতে ♛সিরিয়াস নন। মণিপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে তাঁরা কোনও আলোচনা করতে চাইছেন না।
এদিকে এবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম তিনদিন মণিপুর ইস্য⭕ুতে হট্টগোল করেই কেটে গেল।𓆏
এর আগে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন মণিপুর ইস্যু নিয়ে দিনের পর দিন ধরে নীরব রয়েছেন মোদী। সম্প্রতি মণিপুরে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছিল তৃণমূলের টিম। এমপি কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছিলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি। কোনও সভ্য সমাজে এত নৃশংসতা হতে পারে তা ভাবা যায় না।আসলে হতে দিয়েছে এটা। ওখানকার রাজ্য সরকার শুধু নয়, কেন্দ্রীয় সরকারও দায়ী। নেত্রী জুন মাসে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপাল নিজে বলছেন ৬০,০০০ আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তবুও আম🧜রা দেখেছি অনেকেই সুরক্ষা পাচ্ছেন না। আমরা নেত্রীকে জানাব। তিনি যেটা বলবেন সেটা করা হবে। আমরা জেনেছি খাবার, বেবিফুড, ওষুধ কিছুই দেওয়া হচ্ছে না।
কাকলি জানিয়েছিলেন, জন্তু জানোয়ারের মতো ওদের এক একটা ঘরে রেখে দিয়েছে। জামা কাপড়ও পর্যাপ্ত নেই। বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আধা সামরিক বাহিনী নামলেও কাজটা ঠিকঠাক হয়নি। ইম্ফꦛলে নেমে হেলিকপ্টারে করে গিয়েছি। সমতল ও পাহাড়ের লোকজন সকলেই বলছেন অত্যাচারিত। সরকার সবার। তাদের দেখা দরকার ছিল। ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার।
এমপি কল্যাণ ব🌠ন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, আমরা ক্যাম্পগুলো দেখেছি। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছি। আম🐷াদের মনে হয়েছে দুই সম্প্রদায়ের মধ্য়ে মারাত্মক ঘৃণা তৈরি হয়েছে। সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। যে পরিস্থিতি ভাবা যায় না।