✤ প্রতিটা মুহূর্তে তিলে তিলে কষ্ট করে সন্তানদের বড় করেছেন। অথচ সেই সন্তানদের হাতেই প্রতিনিয়ত চরম নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা’কে। শেষপর্যন্ত অপমান সইতে না পেরে চরম পদক্ষেপ নিলেন তাঁরা। সন্তানদের অত্যাচারে বৃদ্ধ বয়সেও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন বাবা-মা। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের নাগৌরেতে। বৃদ্ধ দম্পতি বাড়িতে তৈরি একটি কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে সম্পত্তি দখল করতে চেয়ে কীভাবে তাদের ওপর অত্যাচার চালাত তাদের সন্তানরা।
আরও পড়ুন: 🎃জমি বিবাদের জেরে অসহায় মা ও মেয়েকে মারধরের অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে
ꦡ জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ দম্পতির নাম হাজারিরাম বিষ্ণই এবং তার স্ত্রী চাউলি দেবী। দুজনের বয়স যথাক্রমে ৭০ ও ৬৮ বছর। বৃদ্ধ দম্পতি সুইসাইড নোটে লিখেছেন, তার ছেলে ও পুত্রবধূরা পাঁচবার তাদের মারধর করার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। এমনকী তাদের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, এক ছেলে বাটি নিয়ে ভিক্ষা করতে বলেছিল। বৃহস্পতিবার নাগৌরের করনি কলোনিতে তাদের বাড়ির ভেতরে অবস্থিত একটি জলের ট্যাঙ্ক থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
൲ জানা গিয়েছে, দম্পতির চার সন্তান রয়েছে। যার মধ্যে দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। বাড়ির দেওয়ালে সাঁটানো ২ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটে তারা লিখেছেন, সন্তানদের অত্যাচারে তারা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তাতে তার এক ছেলে রাজেন্দ্র নামে তিনবার এবং অন্য ছেলে সুনীলের নামে দু'বার মারধর করার অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি আরও লিখেছেন, ছেলে ও মেয়েরা তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যদি তারা কোন অভিযোগ করে তাহলে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতে তাদের মেরে ফেলবে। এমন অবস্থায় লাঞ্ছনা তো বটেই এমনকী আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। দুই ছেলে ছাড়াও দুই পুত্রবধু, এক নাতি এবং দুই মেয়ের বিরুদ্ধে সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেছেন দম্পতি।