‘প্রবল চাপের’ মধ্যে আছে ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। শুধুমাত্র সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুরোপুরিভাবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনে চললে তবেই স্বাভাবিকত্ব ফিরিয়ে আনা যাবে। এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। প্রায় সাত মাস সম্পূর্ণ হতে চলেছে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত দ্বন্দ্ব। তার আগে সর্দার প্যাটেল মেমোরিয়াল লেকচারে ভাষণের সময় বিদেশমন্ত্রী জানান, তিন দশক ধরে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল আছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতিশীলতা এবং শান্তি বজায় থাকার ফলে অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ মিলেছে। তবে সম্প্রতি সেই সম্পর্কে রীতিমতো আঁচড় পড়েছে। তিনি বলেন, ‘মহামারী শুরুর পর প্রবল চাপের মধ্যে এসেছে সম্পর্ক।’বিদেশমন্ত্রীর মতে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার উপর ভিত্তি করে আধুনিক দেশগুলিকে এগিয়ে চলতে হবে। সে ঐতিহাসিকভাবে যতই দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ না হোক কেন। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য দু'দেশকে পুরোপুরিভাবে চুক্তিগুলি মেনে চলতে হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ক্ষেত্রে বলা যায় যে একতরফা কোনও অবস্থার পরিবর্তন একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’চিন সীমান্তে যে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চালানো হচ্ছে, তা জাতীয় সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়ন না হলে তার যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। গত কয়েক বছরে উত্তরের সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরি থেকেই স্পষ্ট যে তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘শুধু কোনও পরিস্থিতির ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নয়, সীমান্ত রক্ষা করা হল ২৪ ঘণ্টার কাজ।’ একইসঙ্গে করোনাভাইরাস সংকটের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বে ভারতের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন।