২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পরে এক তরুণীর উপরে নৃশংস অত্যাচার ও তাঁর সঙ্গীকে ব♑েধড়ক মারধরের পরে ফেলে পালিয়ে যায় ৬ দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল ২০২০ সালে। এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। গত ৫ অগস্ট দিল্লিকে অশোক গেহলট মন্তব্য করেন, ‘নির্ভয়া কাণ্ডের পর দোষীদের ফাঁসি আইনের কারণে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনা বেড়েছে। দেশে এই সংক্রান্ত একটি বিপজ্জনক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’ এই গোটা পরিস্থিতির জন্য তিনি কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপান। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, অশোক গেহলট দোꦚষীদের শাস্তির বিপক্ষে কথা বলেছেন। এর আগে তিনি ধর্ষণের সঙ্গে বেকারত্বের যোগসূত্রের দাবি করেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ দিল্লির সাকেতের এক সিনেমা হলে ‘লাইফ অফ পাই’ ছবি দেখে ফিরছিলেন নির্ভয়া নামে পরিচিত তরুণী এবং তাঁর পুরুষ সঙ্গী। বাড়ি ফেরার জন্য কোনও গণপ♓রিবহণ না পেয়ে শেষে মুনিরকা বাস স্ট্যান্ড থেকে এক🐟টি বেসরকারি বাসে তাঁরা উঠে পড়েন। বাসে উঠে তাঁরা চালকের কেবিনে চার জন এবং বাসের ভিতরে দুই জনকে বসে থাকতে দেখেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যের স্বার্থে ‘সুর নরম’ মমতার, মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কাটল ‘বকেয়🍃া জট’?
বাস বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছলে চালকের কেবিন থেকে তিন জন বেরিয়ে এসে বাস▨ের পিছনে এসে বসে। তরুণীর বন্ধুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তাদের। এরপর মারামারি শুরু হয়। বন্ধুকে বাঁচাতে তরুণী এগিয়ে এলে তাঁকে ধাক্কা মেরে পিছনের আসনে ফেলে দেওয়া হয়𒐪। এরপর যুবককে মারধর করার ফাঁকে তরুণীকে একে একে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। লোহার রড যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে তরুণীর দেহের ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উপড়ে ফেলা হয়। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁদের মহীপালপুর ফ্লাইওভারের কাছে ফেলে দিয়ে পালায় ৬ দুষ্কৃতী। পরে তরুণীর মৃত্যু হয়। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ফাঁসি হয় অভিযুক্তদের। সেই ফাঁসির প্রায় দুই বছর পর এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অনেকেই।