বাংলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য ঝাড়খণ্ডকে♉ দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ তুলেছেন ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার কারণেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এ নিয়ে পালটা মমতাকেই নিশানা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, বন্যার জন্য অসম সরকার কখনও প্রতিবেশী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ বা দেশ ভুটানকে দায়ী করে না।
আরও পড়ুন: 'ম্যান মেড বন💞্যা! ব্যাপারটা দেখ📖ুন' ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন মমতা
রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্♐ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি পরে এক্স পোস্টে জানান, ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট বাঁধ থেকে জল ছাড়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘আমি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে তেনুঘাট থেকে হঠাৎ প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাঁকে বলেছি যে ঝাড়খণ্ডের জল বাংলাকে প্লাবিত করছে। এবং এটি ম্যান মেড! আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি দয়া করে এ বিষয়টি বিবেচনা করুন।’
এরপরই পালটা হিমন্ত শর্মা মমতাকে আক্রমণ করেছেন। একইসঙ্গে, দোষারোপের পরিবর্তে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি মমতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘আমি দিদিকে সম্মান করি, কিন্তু আমি তাঁর এই ধারণাটি মেনে নিতে পারছি না যে পশ্চিমবঙ্গে বন্যার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকার দায়ী।’ হিমন্ত শর্মা বন্যার সমস্যাগুলি সমাধানে জন্য যৌথ আলোচনার পরামর্শ দেন। তিনি লেখেন, ‘জনগণের কষ্ট দূর করার জন্য উভয় সরকারের এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।’ এরপরেই তিনি অসমের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রতি বছর অরুণাচল এবং ভুটানের পা🎃হাড় থেকে আসা জলের কারণে অসমে বন্যা হয়। কিন্তু, আমরা অরুণাচল সরকার বা ভুটান সরকারকে দোষারোপ করি না। কারণ আমরা বুঝ🌸ি যে জলের কোনও সীমানা নেই এবং স্বাভাবিকভাবেই নিচের দিকে প্রবাহিত হয়।’
উল্লেখ্য, এ বছর অসমে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মাಞনুষ প্রভাবিত হয়েছেন। আইএমডির আধিকারিকদের মতে, অরুণাচল প্রদেশে অবিরাম ভারী বর্ষণের ফলে অসমের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা হয়েছে। যদিও গত মাসে অসমে বন্যার জন্ꦍয চিনকে দায়ী করেছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত চিন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বড় জলাধার তৈরি না করছে, ততক্ষণ অসমের বন্যা নিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়।’