নাগাল্যান্ডে সেনার গুলিতে সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আফস্পা বিরোধী রব উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারও এই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। মণিপুরের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বীরেণ সিংয়ের গলাতেও আফস্পা বিরোধী সুর শোনা গিয়েছে। এই আবহে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করলেন, ‘আফস্পা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে সেটা কবে নেওয়া হবে তা আমি জানি না। কিন্তু আমি আশাবাদী।’উল্লেখ্য, নাগরিক হত্যার মর্মান্তিক ঘটনার পর নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে একটি বিশেষ প্যানেল গঠন করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনার বিবেক যোশীর নেতৃত্বে এই প্যানেল গঠিত হয়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারকে জমা দেওয়ার কথা বিবেক যোশীর প্যানেলের। জানা গিয়েছে, যতদিন না এই উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল তাদের রিপোর্ট জমা না দিচ্ছে, ততদিন রুটিন মেনে আফস্পা লাগু থাকবে নাগাল্যান্ডে। এরপর প্যানেলের রিপোর্ট অনুযায়ী আফস্পা প্রত্যাহার বা লাগু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সরকারের তরফে।এদিকে নাগাল্যান্ডের পাশাপাশি অসমেও লাগু রয়েছে আফস্পা। চার মাস পর অসমে আফস্পার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তবে রুটিন মেনে তা পুনর্নবীকরণ হওয়ার কথা অসমেও। এই আবহে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে বহুদিন ধরে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল, তারাই এখন সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে আফস্পা নিয়ে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন হিমন্ত।প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সুরক্ষাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৬ জনের৷ তার জেরে অশান্তি এবং গ্রামবাসীর সেনার উপর আক্রমণের ঘটনায় মৃত্যু হয় আরও ৮ জন গ্রামবাসীর৷ এরই মাজে অসমের জোরহাটে নাগাল্যান্ড পুলিশের ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল সেনা আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করে। এদিকে সেনার ‘কোর্ট অফ ইনকোয়েরি’ও নাগাল্যান্ডের সেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন যেখানে নাগরিকদের হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে গিয়েই টিজিটে দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান রেকর্ড করেন সেনার তদন্তকারীরা।