অসমের গোয়ালপাড়ায় উদ্বোধনের ২ দিনের মধ্যে মিয়াঁ সংগ্রহশালা সিল করে দিল রাজ্য সরকার। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক মোহর আলিকে। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরে সংগ্রহশালা তৈরি করেছিলেন তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, ওই সংগ্রহশালায় অসমীয়াদের পরিচিতি গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আসা বাংলাভাষী মুসলিমদের অহমিয়া ভাষায় মিয়াঁ বলে উল্লেখ করা হয়। সেই সম্প্রদায়ের সংগঠনের প্রধান মোহর আলি বছর কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি ঘর পান। সম্প্রতি সেখানে মিয়াঁ সংগ্রহশালা খোলেন তিনি। সেখানে মিয়াঁ সম্প্রদায় ব্যবহার করে এমন নানা সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়। ঘরে রাখা হয় নানা রকমের ঝুড়ি, হাল, লুঙ্গি প্রভৃতি। উদ্বোধনের পর থেকেই এই নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর তৈরি করে দেওয়া হয় বসবাসের জন্য, তাহলে সেখানে কী করে কেউ সংগ্রহশালা খুলতে পারে, এই প্রশ্ন তুলে সরব হয় বিজেপি। এমনকী সংগ্রহশালায় দেখানো নানা সামগ্রী অহমিয়া সংস্কৃতির অংশ বলে দাবি করে তারা। এই বিতর্কের মধ্যেই ওই সংগ্রহশালা সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। একই সঙ্গে মোহর আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘মিয়াঁ সংস্কৃতি কী জিনিস তাই আমি জানি না। ওখানে যে সব জিনিস দেখানো হয়েছে তা সবই অহমিয়া সংস্কৃতির অংশ। সেখানে হাল রাখা হয়েছে, যা অহমিয়ারা ব্যবহার করেন। ওখানে গামোছা রাখা আছে যা অহমিয়া সংস্কৃতির অংশ। ওনাকে প্রমাণ করতে হবে যে জিনিসগুলো মিয়াঁ সংস্কৃতির অংশ।’সংগ্রহশালার মালিক মোহর আলি বলেন, ‘সরকারের আপত্তি থাকলে জিনিসগুলো নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু বাড়ি সিল করে ওরা আমাকে নিরাশ্রয় করে দিল।’এই নিয়ে মিয়াঁ সম্প্রদায়ের কবি ফরহাদ ভুঁইয়া বলেন, ‘কিছু রাজনীতিবিদ মিয়াঁ সম্প্রদায়কে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এতে ক্ষতি হচ্ছে মিয়াঁদেরই।’