উপসর্গহীন কোভিড রোগী এবং ভাইরাল লোড, অর্থাৎ রোগীর দেহে থাকা তরলের মধ্যে উপস্থিত ভাইরাসের পরিমাণ, এই দুইয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।সম্প্রতি তেলাঙ্গনায় দুশোর বেশি রোগীর উপরে করা সমীক্ষার পরে গবেষকরা উপসর্গহীন রোগীর প্রাথমিক ও পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের উপর নজর রেখে তাঁদের নমুনা পরীক্ষায় জোর দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে সিডিএফডি ল্যাবরেটরি অফ মলিকিউলার অঙ্কোলজি-র গবেষক মূরলী ধরণ বশ্যম জানিয়েছেন, ‘উপসর্গহীন রোগীদের থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা খতিয়ে দেখা দরকার। বিশেষ করে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনায় কম এবং যাঁরা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের মৃত্যু ঠেকাতেই এই পরীক্ষা করা প্রয়োজন।’সংশ্লিষ্ট গবেষণার মূল বিষয় ছিল তেলাঙ্গনায়, বিশেষ করে হায়দরাবাদে দাপিয়ে বেড়ানো সংক্রমণের শিকড় খুঁজে বার করা। গবেষকরা লক্ষ্য করেন, তেলাঙ্গনায় সংক্রমণের হারআশ্চর্যজনক বেশি। গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে মঙ্গলবার সকালে গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৭৩৪ জন নতুন রোগীর খোঁজ এবং ৯টি মৃত্যুর জেরে ওই রাজ্যে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার। গবেষকদের দাবি, মে মাসের শেষ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা নমুনাগুলির মধ্যে আগের চেয়ে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বেশি। নমুনার মধ্যে ৬১% রোগীর বয়স ১৫-৬২ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে মহিলা ৩৯%।