পশ্চিম জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী বলে মনেই করে না অস্ট্রেলিয়া। পূর্ববর্তী কনসারভেটিভ সরকারের এক সিদ্ধান্তকে এইভাবেই কূটনৈতিক পথে ঘুরিয়ে দিল ক্যানবেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশ মন্ত্রী পেনি ওয়ং জানিয়েছেন গোটা বিষয়টির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হবে প্যালেস্টাইন ও ইজরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনার নিরিখে।অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন কোনও এক পাক্ষিক সিদ্ধান্তের বিচারে এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সিদ্ধান্ত নেবে না। দুই দেশ শান্তির ক্ষেত্রে কতটা এগিয়ে যাচ্ছে তা যাচাই করেই সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস তেল আভিভে ছিল আর সেখানেই থাকবে।' তিনি এও বলেন যে, 'আমরা এমন একটি পদ্ধতিকে সমর্থন করব না যা দুর্বল করে' এই প্রক্রিয়াকে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের নেতৃত্বের সরকার পশ্চিম জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী বলে মেনে নেওয়ার ঘোষণা করেছিল। তারও আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা নেন। স্কট মরিসন তাঁকেই অনুসরণ করে ওই সিদ্ধান্ত নেন। প্রসঙ্গত, এই সিদ্ধান্ত ইজরায়েলের কাছে খুব বড় আশ্চর্যজনক বিষয় হবে নাবলেই মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার ওয়েবসাইটে ভাষা অপসারণ ঘিরে ইস্যুর পর এই ঘটনা অভিপ্রেত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এতে দুই দেশের সম্পর্কে অস্বস্তি কাটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, জেরুজালেম নিয়ে ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের মধ্যে সংঘাত অনেকদিনের। তাই বহু দেশই এই এলাকাকে কোনও দেশের রাজধানী ঘোষণা করতে রাজি নয়। এদিকে, এর আগে স্কট মরিসনের সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইন্দোয়েশিয়ার সংঘাত বাধে। তার ফলে কূটনৈতিক সম্পর্কে সমস্যা হয়। এদিকে, ঘটনার জেরে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে প্রভাব পড়তে দেখে ক্যানবেরা। অন্যদিকে, বহু অস্ট্রেলিয়ানও এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। তারপরই এই পদক্ষেপ করে ক্যানবেরা।