সম্প্রতি দেশজুড়ে নেট ব্যাঙ্কিং করার সময়ে কিছু বিশেষ ধরণের প্রতারণা হয়েছে। টাকা হারিয়েছেন অনেকে। মূলত অনলাইন কেনাকাটার টাকা পেমেন্টের সময়েই হয়েছে এই গন্ডগোল।কেমন প্রতারণা?টাকা লেনদেনের সময়ে মাধ্যম হিসাবে মার্চেন্টের পেজে কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েব পেজ আসে। সেই মাধ্যম নিয়েই হচ্ছে প্রতারণা। বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যাঙ্কের আদলে, হুবহু একই ধরনের ওয়েব পেজ সাজাচ্ছে প্রতারকরা।ফলে পেমেন্টের জন্য সেখানে অ্যাকাউন্টের বিবরণ সহ অন্যান্য তথ্যাদি দিলেই তা সরাসরি চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে। কিছুক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আদলেই মেল করছে হ্যাকাররা। সেই মেল দেখে তাদের নির্দেশ মতো কাজ করলেই হারাতে হচ্ছে টাকা।তাহলে কি এবার নেট ব্যাঙ্কিং ছেড়ে দিতে হবে?না। এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হল সতর্কতা অবলম্বন করা। অনলাইনে পেমেন্ট করার আগে সবকিছু যাচাই করে নিতে হবে। বিশেষ করে অনলাইন ব্যাঙ্কিং মোডের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সময়ে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন।কীভাবে নেট ব্যাঙ্কিং প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকবেন? টাকা লেনদেনের সময়ে এই ৮টি বিষয় খেয়াল রাখবেন:১. আসল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করছেন কিনা তা যাচাই করুন।২. যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করবেন তা বারবার যাচাই করুন৷৩. সন্দেহ হলেই লেনদেন বন্ধ করুন।৪. প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল কল সেন্টারে ফোন করুন। অন্য কোনও সাইট নয়, সংস্থার ওয়েবপেজ থেকেই হেল্পলাইন নম্বর জোগাড় করুন।৫. যাচাইকরণ ছাড়া মেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কারো বক্তব্যে বিশ্বাস করবেন না।৬. নেট ব্যাঙ্কিং বা যে কোনও অনলাইন লেনদেনের সময়ে স্ক্রিনশট তুলে রাখতে ভুলবেন না।৭. যদি ভুল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করেন, তাহলে ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানকে রিপোর্ট করুন। যত দ্রুত সম্ভব সেটা করবেন। লেনদেনের পরে ৫ দিনের মধ্যেই।৮. নিশ্চিত করুন যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের URL-এ 'https' আছে। যাচাই করতে ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবার চেক করুন।কোনও গণ্ডগোল হলেই সময়মতো ব্যাঙ্ককে জানান। সেক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। লেনদেন করাকে হালকাভাবে নেবেন না।