সমুদ্রের উপর তৈরি হবে রানওয়ে। এই রানওয়েটি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের কক্সবাজারে। বাংলাদেশের এটাই দীর্ঘতম রানওয়ে। এই রানওয়েটি তৈরি হয়ে গেলে তা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নত𝓰ুন মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন এই রানওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট। এর মধ্যে ১,৩০০ ফুট সমুদ্✱রের উপরে থাকবে। সমুদ্রের যে অংশে এই রানওয়ে তৈরি হবে, সেটিকে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের পর কক্সবাজারেই দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই বিমানবন্দর তৈরি হয়ে গেলে তা কক্সবাজারের অর্থনৈতিক বিকাশে বিশেষভাবে সহয়তা করবে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। জানা গিয়েছে, গোটা প্রকল্পটি শেষ করতে খরচ পড়বে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এই রানওয়ে নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং বুরো ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্﷽রাকশন কর্পোরেশনকে।
জানা গিয়েছে, মহেশখালি ক্যানেলে জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে ব্লক ও জিওটিউব ফেলে চ্যানেল তৈরি করা হবে। এরপর সমুদ্র থেকে ড্রেজিং করে বালি এনে বাঁধের ভিতর ফেলা হবে। এই কাজ শেষ হয়ে গেলে পাইলিংয়ের মাধ্যমে রানওয়ের ভিত্তি তৈরি হবে। সেটা তৈরি হয়ে গেলে পাথর𝓡ের বসিয়ে তৈরি হবে রানওয়ে। নতুন এই প্রকল্প সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ‘রানওয়🉐েকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে বড় বড় বিমানগুলি সেখানে অবতরণ করতে পারে। কক্সবাজারে একটি বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এরফলে বাংলাদেশ আগামীদিনে আর্থিকভাবে লাভবান হবে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই প্রথমবার বাংলাদেশে রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।