কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দেয়। তার জেরে গতমাসে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের পরি✃বর্তন হয়। তারপরেই মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে🦩 অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় বাংলাদেশে।
দায়িত্ব নিয়েই অন্তর্বতী সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের প্রথম লক্ষ্য হল বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তবে অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাস পরেও এখনও পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। এই অবস্থায় বিএনপি সহ বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত সাধারণ নির্বাচনের জোরদার দাবি তুলেছে।🐠 সেই আবহে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে 💝বড় কথা জানালেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আরও পড়ুন: ভার༒তে এসে ফেসবুকে ভারত ভাগ🍎ের হুমকি, ঘাড় ধরে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মোদী সরকার
ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে একটি সংবা𒊎দ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আগামী ১ থেকে দেড় বছরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। তবে তার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। সেগুলি সম্পন্ন করতꦕে চাইছে অন্তর্বতী সরকার তারপরে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। আর এর জন্য সেনা সবরকমভাবে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন ওয়াকার-উজ-জামান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল হাসিনার আওয়ামী লিগ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উভয়ই তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জౠা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার জানিয়েছেন, দলটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে চাইছি না। তবে আমি মনে করি যত তাড়াতাড়ি তত ভ🔯াল। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আগামীকাল নির্বাচন হলেও আমরা প্রস্তুত।’
সেনাপ্রধান জানান, সংস্কারের পর নির্বাচন হবে। এর জন্য ধৈর্য রাখা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ইউনুসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে সেনা প্রধানের। তিনি এমনটাই দাবি করেছেন। তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে সেনাবাহিনী সবরকমভাবে সমর্থন করছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী রাজনৈতিকভাবে কোনওকিছুতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না বলেও জানান সেনাপ্রধান। তিনি মনে করেন, বাহিনীর ক্ষতি করতে পারে এমন ধরনের কিছু করা উচিত নয়, বাহিনীকে🐼 পেশাদার করে রাখা উচিত।