শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আজ, রবিবার প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল আওয়ামি লিগ। কিন্তু সেই প্রতিবাদ মিছিল করার শুরুতেই ব্যাপক মারধর করা হয়েছে আওয়ামি লিগের কর্মী–সমর্থকদের। এই ঘটনায় আবার প্রশ্ন উঠে গেল, বাংলাদেশে কি গণতন্ত্র ফিরেছে? মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকায় শহিদ নূর হোসেন চত্বরে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল আওয়ামি লিগ। এই ঘটনার পর মিছিল হ꧒তেই দিল না পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দাবি, এই কর্মসূচির জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা। নূর হোসেন চত্বর এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই বিক্ষোভ ও হামলার পিছনে বিএনপি এবং যুജবদলের লোকজন রয়েছে বলে দাবি আওয়ামি লিগের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সেনা ও পুলিশের সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি)। আওয়ামি লিগের যুবনেতা নূর হোসেন ১৯৮৭ সালে ১০ নভেম্বর তারিখে নিহত হয়েছিলেন। তখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল নূরের। তাই নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তারই মধ্যে সেখান থেকে তাদের কর্মী–সমর্থকদের তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ ও সেনা বলে দাবি করেছে আওয়ামি লিগ।
আরও পড়ুন: নানুরের চণ্ডীদাস কলেজে চটুল নাচ ছাত্রছাত্রীদের, উড়ছে টাকা, নবীনবরণ ঘিরে বিতর্ক
অন্যদিকে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর এটাই ছিল প্রথম প্রতিবাদ মিছিল। যা রাজনৈতিক কর্মসূচি। কিন্তু সেই প্রতিবাদ মিছিলের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। নানা এলাকায় দলের কর্মী–সমর্থকদের আক্রমণ করা ছাড়াও গাড়ি এবং মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে আওয়ামি লিগ। যদিও এই প্রতিবাদ মিছিলের প্রাক্কালে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার অনুমতি দেয়নি তা করার। এই বিষয়ে ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আওয়ামি লিগের বর্তমান অবস্থা একটা ফ্যাসিস্ট পার্টি। তাই ফ্যাসিস্ট পার্টি♛কে কꦅোনও অনুমতি দেওয়া হবে না প্রতিবাদ মিছিল করতে।’
এছাড়া আওয়ামি ল♏িগের প্রতিবাদ মিছিলের পাল্টা জমায়েত করে পদ্মাপারের ছাত্র সংগঠন। যারা কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন করেছিল। যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক থাকে তার জন্য সেনা নামানো হয়েছিল। তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিতে অন্তর্বর্তী সরকার সেনা এবং পুলিশকে ব্যবহার করেছে বলে দাবি করে আওয়ামি লিগের নেতারা। কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। অন্তর্বর্তী সরকার গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে শান্তি ফেরেনি বলেই মনে করছেন অনেকে।