মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উষ্মাপ্রকাশ করল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে পড়ুয়াদের আন্দোলনের মধ্যেই অসহায় মানুষদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেবেন বলে যে 🐬মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনারা। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের দ্বারস্থও হয়েছে ঢাকা। দিয়েছে ‘নোট’। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মেহমুদ বলেন, ‘মমতা বন🌠্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তাঁর সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত চমৎকার এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যে অনেকটা বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ আছে। সেজন্য তাঁর বক্তব্যের বিষয়ে ইতিমধ্যে নোট দিয়ে ভারত সরকারকে জানিয়েছি আমরা।’
এমনিতে সরকারিভাবে মমতার💟 মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মমতার মন্তব্যে একেবারেই প্রসন্ন হয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সেই বিষয় ন🅘িয়ে মন্তব্য করার কোনও এক্তিয়ারই নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। ওই সূত্র বলেন, 'এগুলি এমন বিষয়, যেগুলি সামলায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তো কোনও এক্তিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’
মমতার বিতর্কিত মন্তব্য
কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সূত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা কিছু বলেননি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও কিছু জানানো হয়নি। রবিবারই শহিদ দিবসের সমাবেশেই শুধু তিনি মুখ খুলেছিলেন। আর তারপরই বিতর্ক শুরু হয়েছে। মমতা বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেജশের কোটা-বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কিছু বলবেন না। সে বিষয়ে নয়াদিল্লির তরফে মন্তব্য করা হবে। তবে কোনও অসহায় মানুষ যদি আশ্রয় চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের কড়া নাড়েন, তাহলে তাঁকে সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা।
এখন বাংলাদেশে কী অবস্থা?
আপাতত বাংলাদেশের পরিস্থি𝐆তি অনেকটা শান্ত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশের একাংশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরেছে। তবে আপাতত ইন্টারনেটের স্পিড বেশ স্লো বলে জানিয়েছেন এক ব্যক্তি।
অন্🃏যদিকে, সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী আন্দোলনে কমপক্ষে ১৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতাল এবং পুলিশের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সেটা জানা গিয়েছে। আর ওই ঘটনায় ২,৫০০-র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারইমধ্যে বেড়েছে কারফিউয়🧸ের মেয়াদ। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কারফিউ জারি করা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় সাত ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছে দু'দিনই।