বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের 'মাথা' হল 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' নামক গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে আন্দোলন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠছে, এই ছাত্র আন্দোলন পুরোপুরি জামাত 'হাইজ্যাক' করে নিয়েছে কি না। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বেশ কয়েক জন নেতাকেও আটক এবং গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এরপরই একটি সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, সারজিস আলমকে সমন্বয়ক পদ থেকে সরানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: সম্প্রচারের মাঝেই 'ব্ল্যাকআউট' বাংলাদেশি খবরের চ্যা✃নেলে, ওপার বাংলা যেন 'অন্ধকার দ্বীপ')
আরও পড়ুন: কুমিল্লার একই🦄 কলেজের ১২৭ ভারতীয় পড়ুয়াকে নিয়ে𝔍 উদ্বেগ, এদেশের কতজন এখনও বাংলাদেশে
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সারজিস এবং অন্য এক সমন্বয়ক বৈঠক করেছিলেন সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এই আবহে সারজিসকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। এর আগে আইনমন্ত্রী আন💞িসুল হক বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে সেই বৈঠককে ভালো চোখে দেখেনি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতৃত্বের একাংশ। উল্লেখ্য, এই সারজিস আলম এক সময়ে ছাত্র লিগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই আবহে কোটা আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত থাকা সারজিসকে আন্দোলন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সাফ বক্তব্য, এটা এখন আর কোটা বিরোধী আন্দোলন নয়, বরং হাসিনা বিরোধী আন্দোলন। এই আবহে সারজিসের পুরনো কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে তিনি একটি ডায়াসে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁর পিছনে লাগানো পোস্টারে হাসিনার ছবি। সেই সব পোস্টে সারজিসকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন ꧒আরও ২৬০ ভারতীয়, ট্যাক্সি ꦛকনভয়ে এপার বাংলায় ৮০ পড়ুয়া
অভিয𒅌োগ উঠছে, কোটা বিরোধী এই ছাত্র আন্দোলনে এখন বিরোধী দল বিএনপি এবং জামাতের প্রভাব বেড়ে গিয়েছে। আন্দোলনের ইস্যু বদলে গিয়েছে। এখন আওয়ামি লিগপন্থী অতছ কোটা-বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এদিকে বিরোধী বিএনপি এবং নিষিদ্ধ জামাতের সশস্ত্র কর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এএফপি সূত্রে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫ হয়েছে। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হিংসা ঠেকাতে শুক্রবার রাতে কার্ফু জারি হয় বাংলাদেশ জুড়ে। জানা যায়, গভীর রাতেই বাংলাদেশ সেনা মোতায়েন করা হয় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়।