আজ দুপুরে ঢাকায় ফের নতুন করে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। শেখ হাসিনার বিদায়ের পরে এবার দাবি ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের। বাংলাদেশি সময় দুপুর ১টা পর্যন্ত পদত্যাগের জন্যে প্রধান বিচারপতিকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এই আবহে আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ওবায়দুল হাসান। এর আগে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বুঝিয়ে দেন, আন্দোলনকারীদের পাশেই আছে সরকার। তিনি প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলেছিলেন, 'গণ-আন্দোলন থেকে পদত্যাগের দাবি উঠলে সেটিকে কতটুকু সম্মান প্রদর্শন করতে হয়, সেটা প্রধান বিচারপতি বুঝতে পারবেন বলে আশা করি।' (আরও পড়ুন: 'জেগে উঠেছে বাংলাদেশের হিন্দু.🉐.. যে মন্দির ভাঙতে আসবে তাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে')
আরও পড়ুন: মুজিবকে মু🔥ছেই ফেলল ইউনুস সরকার? বাংলাদেশ সীমান্তে উঠে এল অভাবনীয় দৃশ༺্য
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা তথা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে লেখেন, 'ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপ💦তিসহ অ্যাপিলেড ডিভিশনের ৭ জন বিচারপতির পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা। জেলা জজ কোর্টের সাথে এর কো🐼ন সম্পর্ক নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সকলের প্রতি আহ্বান কোন জেলায় জজ কোর্টের দিকে অবস্থান নেবেন না। বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই, আমাদের দাবি ও কর্মসূচি স্পষ্ট। শান্তিপূর্ণ ভাবে শুধুমাত্র হাই কোর্টের আশেপাশে অবস্থান নিন। পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দেশ গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন।'
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবে๊শ… মমতার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বুদ্ধদেব: রিপোর্ট
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এর আগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কোর্টের ফুল বেঞ্চের কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান আসিফ মাহমুদ। তিনি ফেসবুক ꧂পোস্টে লেখেন, 'ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করে ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনও প্রকার ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বা⛦ন জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।'