গত ৫ অগস্ট ছাত্র আন𓄧্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। তার ওপর ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক দুরবস্থা চরমে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে নতুন অন্তবর্তী সরকার। এই অবস্থায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ- আইএমএফ, বিশ্ব ব্💜যাঙ্ক, এডিবি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য চাইছে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের মূর্তি যারা ভাঙছে তারা জেনে রাখুন, সমান প্রতিক্রিয়া হবে: 💜শুভেন্দু
জানা যাচ্ছে, দেশটি বর্তমানে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক ঋণের উপর দাঁড়িয়ে আছে। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের জন্য আইএমএফ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের পাশাপাশি বন্যা পুনর্বাসনের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে ইউনুসের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য আইএমএফের একটি দল আগামী মাসে ঢাকায় আসার কথা আছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪.৭ বিলিয়ন ঋণ কর্মসূচির অধীনে আইএমএꦍফ এ পর্যন্ত ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ড🦹লারে ছাড় দিয়েছে।
যদিও শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেও এখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় দেশটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখ🔯ীন হচ্ছে। এদিকে, ইউনুস ইসলামি মৌলবাদী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিএনপির মতো ইসলামপন্থী দলগুলি আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। আওয়ামী লিগ♍ের নামে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, বন্যাকে কেন্দ্র করে ভারতবিরোধী মনোভাব পোষণ করা হচ্ছে।
দেশটিতে মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ অতিক্রম করেছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই সমস্ত সমস্যার কারণে ইউন🏅ুস সরকার আর্থিক সাহায্য চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মতে, এই পরিমাণ অর্থ পেলে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। সবমিলিয়ে কঠিন উইকেটে ইউনুস। কতটা সাহায্য তিনি পান সেই দিকেই সব নজর।