অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এখনও নানা🌼 হিংসা থেকে লুঠপাটের খবর সামনে আসছে। আর তাই বাংলাদেশে🌞র হিন্দুরা ভারত সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন ওপার থেকে এপারে আসার জন্য। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এখন এটাই পথ বলে তাঁরা মনে করেছেন। এই আবহে এবার আশার বাণী শোনা গেল। আগামী তিন–চার দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। কিন্তু তাতেও কি ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরলেন? জিইয়ে রইল এই প্রশ্ন। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি খানিকটা ঠাণ্ডা হয়েছে।
ওপাꦫর বাংলার মানুষজন এখন ভরসা চাইছেন। সেই ভরসা দিতেই এবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে দেওয়া 🧸সাক্ষাৎকারে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফেরাতে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নয়া সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। এখনও রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। পুলিশে কর্মরত অনেকে এখনও প্রাণভয়ে লুকিয়ে আছেন। এই অবস্থায় জনগণকে বুঝিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। আশা করা যাচ্ছে, আগামী তিন–চার দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে নয়া সরকার।’
আরও পড়ুন: 💫ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে নয়া উদ্যোগ শহরে, পাঁচতারা হোটেলে পুরষ্কৃত হলেন অনেকেই
কিন্তু এতে কি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভরসা আসবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। তাই এম সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্য, ‘দরকার হলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের অভিযোগ শুনব। যতদিন আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আছি ততদিন সুরাহার চেষ্টা করব। এই পরিস্থিতিতে পুলিশকে আশ্বস্ত করতে হবে। তাঁরাও তো মানুষ। আমি এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কাউকে বুঝি না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আর প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেশজুড়ে একটা অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেটার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের অধিকার আছে প্রতিবাদ করার। এখন আমরা কিছুতেই আর এরকম ঘটনা ঘটতে দেব না। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে এ🐷ই সব ঘটনায় কারা জড়িত।’