প্রায় ২০০০ কোটি টাকার বোঝা চাপতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির উপর। লোন মোরাটরিয়ামের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ফলে এমনটাই হতে পারে বলে সূত্রের খবর।২০২০ সালের মার্চ থেকে অগস্ট মাসে মোরাটরিয়ামের আবেদনকারীদের দেওয়া হয়েছে সুদ ছাড়। ২ কোটির উর্ধ্বের ঋণগুলিতে মিলবে এই ছাড়। এর কারণ ২ কোটির কম অঙ্কের ঋণে এর আগেই সুদে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। করোনা-লকডাউনের কথা মাথায় রেখেই দেওয়া হয়েছিল এই সুবিধা। সেই সময়ে সরকারের ভাঁড়ার থেকে প্রায় ৫,৫০০ কোটি টাকা খরচা হয়েছিল।তবে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির সূত্রে খবর, খুব বেশি ঋণগ্রহিতারা মোরাটরিয়ামের সুবিধা নেননি। প্রাথমিকভাবে ৬০% ব্যক্তি মোরাটোরিয়ামের সুবিধা নিলেও পরে তা নেমে আসে ৪০%-এ। লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকও হতে শুরু করে। সময়ে টাকা জমা দিতে থাকেন ঋণগ্রহিতারা।করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে গত বছর ২৭ মার্চ ঋণে মোরাটরিয়ামের ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোরাটরিয়ামের ঘোষণা করা হয়। পরে করোনা পরিস্থিতি জারি থাকায় সেটি ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক অর্ডার অনুযায়ী যাঁরা এই সময়ে মোরাটরিয়াম গ্রহণ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। সূত্রের খবর, এর ফলে ১৮০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকার বোঝা চাপতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির উপর।কম্পাউন্ড ইন্টারেস্টের সেটেলমেন্ট করার সময়সীমার বিষয়ে কিছু জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। সেটা সম্পূর্ণ ব্যাঙ্কের উপরেই ছেড়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।এর আগে একাধিক বণিক সংগঠনের সম্পূর্ণ মোরাটরিয়ামের দাবি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, এর ফলে টাকা জমা রাখা ব্যক্তিদের সুদে প্রভাব পড়বে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ছাড় সম্ভব নয়।