মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে বাংলার মাটিতে উৎসব হয়। আবার মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক পেতে নানা কথা বলা হয় নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে। তবে এটা জেনে রাখা দরকার পদ্মাপারেও এই একই উৎসব হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে এই উৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে মতুয়া ধর্মাবলম্বীদের মহাবারুণীর স্নান উৎসব শুরু হয়েছে। আর তাতে মেতে উঠেছেন আপামর জনগণ। আসলে মতুয়া ভক্তদের আর একটি ൲ধর্মীয় পীঠস্থান বাংলাদেশের ওড়াকান্দি। যেখানে এই উৎসবে মতুয়া ভক্তরা মেতে ওঠেন স্বাভাবিক ছন্দে।
এদিকে পদ্মাপারে এই উৎসব শুরু হয়েছে বলে সেখানকার প্রশাসন কড়া নজর রেখেছে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। প্রায় দুশো বছর ধরে বাংলাদেশের মাটিতে মহাবারুণীর স্নানোৎসব চলে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল থেকে মতুয়া ভক্তরা এখানে হাজির হয়েছেন উৎসবে সামিল হতে। ওড়াকান্🏅দির এই উৎসবে অংশ নিয়ে সবাই খুশির মেজাজে রয়েছেন। বাংলাদেশ প্রশাসনও যথেষ্ট সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে𓆉ছে। তাই তো আনন্দে ঢাক, ঢোল, শঙ্খ, কাঁসি বাজিয়ে এবং লাল নিশান উড়িয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন পুণ্যার্থীরা। এই উৎসব ঘিরে ওড়াকান্দিতে মেলাও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় বড় 🍸সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস, ইন্ডিয়া মঞ্চ বা বাম–কংগ্রেস জোট দেখিয়ে ভোট নয়
অন্যদিকে একদিন আগেই ভোরবেলা গদীনশীল ঠাকুর, মতুয়ামাতা সীমা ঠাকুর এবং পদ্মনাভ ঠাকুর কামনা সাগরে স্নান করে স্নানোৎসবের সূচনা করেন। এই স্নানে অংশ নেয় আট থেকে আশি। পুণ্যার্থীদের স্নানের পালা দেখে সবাই উল্লসিত। কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান এবং হরিচাঁদ ঠাকুরের ষষ্ঠ পুরুষ স𓆉ুব্রত ঠাকুর জানান, স্নানের উৎসবে সামিল হতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ও নেপাল থেকে পুণ্যার্থীরা এসেছেন। নানা বয়সের নারী–পুরুষ পুণ্যার্থীরা পাপ মুক্তির আশায় স্নান করেন। স্নান সেরে ভক্তরা ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি লাভের জন্য প্রার্থনা করেন।