বিয়ের জন্য ফাঁদ পাতত ওই যুবক। মাইসোর পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। মূলত বিয়ের যে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন দেয় সেটা দেখেই যোগাযোগ করত সে। নিজেকে কখনও ডাক্তার, কখনও ইঞ্জিনিয়ার, কখনও ঠিকাদার বলে পরিচয় দিত। এরপর সে বিয়ে করত। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সে অন্তত ১৫টা বিয়ে করছে। সবটাই টুপিয়ে পরিয়ে। তার ৪ সন্তানও রয়েছে বলে খবর। একেবারে সুন্দর পরিকল্পনা। সম্প্রতি এক সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারকেও সে বিয়ে করেছিল। এরপর ওই ইঞ্জিনিয়ার গোটা বিষয়টি ধরে ফেলেন। সেই মতো তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করে। নাম মহেশ কে বি নায়েক। বয়স ৩৫। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, আসলে ওই যুবক ক্লাস ফাইভ পাশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি কখনও নিজেকে ডাক্তার, কখনও বা ইঞ্জিনিয়ার বা বড় চাকুরে বলে পরিচয় দিতেন। এরপর একের পর এক বিয়ে করত সে। এমনকী বিয়ে করার জন্য় সে একটা ভুয়ো ক্লিনিকও খুলে ফেলেছিল। এক নার্সকে সে রেখে দিয়েছিল, যাতে বোঝা যায় যে সে চিকিৎসক। কিন্তু ইংরেজি বলতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেত গুণধর ব্যক্তি। এরপরই মেয়েের কেমন যেন সন্দেহ হতে শুরু করে। এদিকে ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের দাবি. ওই ব্যক্তি ক্লিনিক করার জন্য় টাকা চেয়েছিল। কিন্তু তিনি দিতে না চাওয়ায় ওই ব্যক্তি তার টাকা, গয়না নিয়ে পালায়। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই ব্যক্তি মূলত অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল এমন মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে করত। এরপর শুরু হত প্রতারণার জাল। তবে ওই মহিলারা লোকলজ্জার ভয়ে কিছু বলতে পারতেন না। এই সুযোগটাই নিত ওই ব্যক্তি। তবে আপাতত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখানেই শেষ নয়, ওই যুবকের বাবা তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছে। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রায় এক দশক ধরে সে এই বিয়ের ব্যবসা চালাচ্ছিল। এতদিন পরে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। একটা বিয়ে করার পরে কিছুদিন থেকে সে ফের অন্য মেয়ের কাছে যেত। সেখানে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে সে ফের অন্য় মেয়ের কাছে ফাঁদ পাতত। মূলত টাকা পয়সার জন্যই সে এই কাজ করত বলে অভিযোগ।