রাস্তায় জমা জল। আর তাতে প্রবল যানজট। গত ৩০ অগস্ট প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে রাস্তায় আটকে গিয়েছিলেন আইটি কর্মীরা। আর মাত্র এই একদিনেই মোট ২২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আইটি সংস্থাগুলির। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে দেওয়া চিঠিতে এমনই জানিয়েছে আউটার রিং রোড কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশন। প্রত্যুত্তরে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আজ সোমবারও বৃষ্টিতে পুরো ডুবে গিয়েছে শহর। কত ক্ষতি আজ হবে, সেটা পরেই জানা যাবে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই কার্যত নদীতে পরিণত হয় এই আউটার রিং রোড। অথচ এই রাস্তার দু'পাশেই দেশের অন্যতম বৃহত্ আইটি হাব। দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি গবেষণার প্রাণকেন্দ্র। কৃষ্ণরাজপুরম থেকে শুরু করে ব্যাঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ড এলাকা পর্যন্ত। চিঠিতে কোম্পানিদের সংগঠন জানিয়েছে, এটুকু এলাকাতেই কাজ করেন পাঁচ লক্ষেরও বেশি কর্মী। ১৭ কিলোমিটার ধরে রাস্তাটি প্রসারিত। সব মিলিয়ে এই রাস্তার আশেপাশেই প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান। দেশের অর্থনীতিতে এর একটি বড় অবদান রয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। অথচ এই নির্দিষ্ট এলাকাতেই পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও মনোযোগ নেই। ব্যাঙ্গালুরুর পরিকাঠামোর সাম্প্রতিক পতন এখন একটি 'বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয়' বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে আইটি কোম্পানিগুলি অফিসের জন্য বিকল্প স্থানও খুঁজতে পারে বলে আশঙ্কা কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশনের। চিঠির প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি সংস্থাগুলিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি বলেন, 'আমরা আইটি সংস্থাগুলিকে ডেকে পাঠাব। তারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে (জমা জলের কারণে) সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব। বৃষ্টির কারণে ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য সমস্যা নিয়েও আলোচনা করব।' এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ব্যাঙ্গালুরুর আউটার রিং রোডের বেহাল দশা পরিদর্শন করেন। শীঘ্রই সমস্ত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। শহরের স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন আটকে ঝুপড়ি দোকান, দখলদারি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।এদিকে, আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। কারণ ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের কোডাগু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। অন্যদিকে দাভাঙ্গেরে, শিবমোগা, চিত্রদুর্গা এবং মহীশূরের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।