গুজরাটের মৌরবিতে সেতু ভেঙে পর্যটকরা জলে পড়ে যাওয়ার পরে নদীতে নামতে দেখা গিয়েছিল সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক কান্তিলাল অম্রুতিয়াকে। পরে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেখান থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছඣিলেন তিনি। এবার সেই ঘটনা🌞ই মনে করিয়ে দিল গুজরাটের অপর এক বিধায়ক হীরা সোলাঙ্কি। আমরেলি জেলার রাজুলার বিধায়ক হীরা সোলাঙ্কি সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনজনের প্রাণ বাঁচালেন। এর আগে ২০১৮ সালেও এই একই ধরনের কাজ করেছিলেন তিনি। এদিকে সাম্প্রতিক ঘটনায় বিধায়ক তিন যুবককে জীবিত অবস্থায় তীরে টেনে নিয়ে আনলেও তাদের অপর এক বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিধায়কের এহেন প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হচ্ছে।
রাজুলার পাটোয়া গ্রামে বুধবার সাগরে স্নান করতে নামে চার যুবক। স্নান করতে করতে গভীর জলে তলিয়ে যেতে থাকে তারা। সেই সময় স্থানীয় কেউ একজন বিধায়ক হীরা সোলাঙ্কিকে সেই ঘটনার কথা জানায়। সোলাঙ্কি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থ﷽লে পৌঁছে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন। আরও কয়েকজনের সহায়তায় তিন যুবককে নিরাপদে বের করে আনেন তিনি। তবে ততক্ষণে জলে ডুবে মারা যায় অপর এক যুবক। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, বিধায়ক যাঁদের বাঁচাতে পেরেছেন, তাদের নাম হল - কল্পেশ শিয়াল, বিজয় গুজরিয়া, নিকুল গুজরিয়া। তাদের বন্ধু জীবন গুজরিয়া মারা যান জলে ডুবে। জা🌠না গিয়েছে, বুধবার একসঙ্গে চার যুবক সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন। কিন্তু প্রবল ঢেউয়ে তারা গভীর জলে চলে যাব। সৌভাগ্যক্রমে, বিধায়ক সোলাঙ্কি সময়মতো সেখানে পৌঁছে তিনজনের জীবন বাঁচিয়েছিলেন। এরপর থেকেই হীরা সোলাঙ্কির এই কীর্তির কথা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, হীরা সোলাঙ্কি কোলি সম্প্রদায়ের। তিনি তিনবার বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৭ এবং ২০১২ ♔সালে রাজুলা থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সালে অবশ্য তিনি হেরে যান। তবে ২০২২ সালের নির্বাচনে জিতে ফের বিধায়ক হয়েছেন তিনি।