বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি বনাম শাহী ইদগাহ নিয়ে আইনি লড়াই চলছে আদালতে। এক্ষেত্রে দাবি করা হয়েছে যে মসজিদগুলি হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছে। এই আবহে ১৯৯১ সালের উপাসনা স্থান আইন বাতিল করার দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ হরনাথ যাদব। তাঁর দাবি, এই আইনটি হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের জন্য সংবিধানে উল্লিখিত ধর্মীয় অধিকারগুলিকে লঙ্ঘন🍌 করে। লোকসভা ভোটের আগে সংসদে বিজেপি শিবির থেকে এই দাবি তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সময় চাইল কেন্দ্র,ꦫউপাসনাস্থল আইনের বৈধতার শ🃏ুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
রাজ্যসভায় বিজেপি সংসদ এই দাবি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আইনের ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতি হচ্ছে বলে উল্ল🍨েখ করেন। তিনি বলেন, ‘উপাসনা স্থান আইনটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অসাংবিধানিক। এটি সংবিধানের অধীনে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ এবং জৈনদের ধর্মীয় অধিকার হরণ করে। এটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই জাতির স্বার্থে আমি অবিলম্বে এই আইন বাতিল করার জন্য সরকারের ক🧸াছে আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, রাম জন্মভূমি–বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্♐ক চলাকালীন এই আইন তৈরি করা হয়েছিল। মূলত মন্দির-মসজিদ বা গির্জার মতো ধর্মীয় স্থানগুলিকে রক্ষার জন্য এই আইন। তাতে বলা হয়েছিল এগুলির চরিত্র পাল্টানো যাবে না। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনই রাখতে হবে। তবে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছিল। হরনাথ যাদব দাবি করেছেন, এই আইনটি সংবিধানে প্রদত্ত সাম্য এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করে।
বিজেপি সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যেরও প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ্য, প্রধান মন্ত্রী বলেছিলেন, যারা স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন ত♏ারা উপাসনালয়ের তাৎপর্য বুঝতে পারেননি এবং রাজনৈতিক কারণে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য লজ্জিত হওয়ার প্রবণতা তৈরি করেছেন।’ উল্লেখযোগ্যভাবে, বিজেপি সাংসদের দাবি, এমন সময়ে এসেছে যখন জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। এই অবস্থায় বিজেপি সাংসদের দাবি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্র🍰সঙ্গত, বিজেপি সাংসদের এই দাবি সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।