এবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং তাঁর স্ত্রী অনামিকা গৌতমের বিরুদ্ধে মামলা করল দিল্লি পুলিশ। আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দিল্লি পুলিশ তারপর মামলা করা হয়। লোকসভা নির্বাচনে প্রচার করার জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্বামী–স্ত্রী মিলে দু’কোটি টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন ক🎀রেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা ত𒈔োলার অভিযোগে মামলা দায়ের হল। এই ঘটনায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিকে এই মামলাটি দায়ের হয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীরাজ মিত্তালের নির্দেশে। গত ৩ এপ্রিল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে দিল্লির তুঘলক রোড পুলিশ স্টেশন নিশিকান্ত ও অনামিকার নামে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করে। আই অনুযায়ী বিষয়টি দেখার জন্য আদালত নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় এখন বেশ মজা নিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি রীতিমতো আজ, মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি তুলে ধরে খোঁচা দিয়েছেন। তবে আদালত পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, এফআইআর করার অর্থ এটা বোঝায় না যে, পুলিশ অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পা꧅রবে। তবে গ্রেফতার করতে না পারলেও বিষয়টি জানাজানি হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় নয়াদিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এসবিএস 🌺ত্যাগীর সঙ্গে। তিনি বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘একটা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশেই তা করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সরে🦋জমিনে খতিয়ে দেখতে চাই অভিযোগকারী যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা আসলে কি ঘটেছে।’ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা দাবি করার অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির বাসিন্দা সন্দীপ শর্মা। ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইসকন মন্দিরে খঞ্জনি বাজিয়ে কীর্তন করলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলেন বিশেষ পরা๊মর্শ
ঠিক কী লিখ𒀰েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? দিল্লির বাসিন্দা সন্দীপ শর্মা অভিযোগ করেছেন, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত এবং তাঁর স্ত্রী অনামিকা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর জোর করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েন। আর হুমকি দেন, অবিলম্বে তাঁদের 💜হাতে ২ কোটি টাকা তুলে দিতে হবে। নিশিকান্তর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খার জন্য। এই ঘটনা এখন সামনে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘হা হা, স্পষ্টতই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের ২ কোটি টাকার কাল্পনিক নগদ অঙ্কটি সন্দেহজনক চরিত্রের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছিল। যাদের ২ কোটি টাকা লেনদেনের ইতিহাস রয়েছে।’