'খুব সম্ভবত, দশেরার (দশমী) পরই পদত্যাগ করবেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া'! রবিবার এই দাবিꦦ করেছেন, সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন🀅্দ্র।
অন্যদিকে, জেডি(এস) নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর দাবি হল, সময়ের আগেই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 🅠তাঁর দাবি, রাজ্যে কং🦋গ্রেসের সরকারের অন্তিম দিন ঘনিয়ে এসেছে। এর জন্য নাকি ২০২৮ সালের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেই দক্ষিণের এই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই ভোটে জিতে 👍গত বছরের মে মাসে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু, সম্প্রতি মুডা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রী। যার জেরে কংগ্রেসেও কিছুটা সমস্যায় রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে সিদ্দারামাইয়ার পদত্যাগের দাবি তে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। রবিবার বিজয়েন্দ্✱র যে মন্তব্য করেছেন, তাও সেই রণকৌশলেরই অঙ্গ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ওই দিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'এই মুহূর্তে রাজ্যে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে সিদ্দারামাইয়াকে প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। তাঁকে বলতে হচ্ছে, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন এবং থাকবেন। ওঁরা অবস্থা এখন এতটা♔ই শোচনীয়... কয়েকজন মন্ত্রীও বলছেন, সিদ্দারামাইয়া রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী থাকবেন। অন্যদিকে, সিদ্দারামাইয়া নিজে রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সতীশ জরকিহোলিকে দিল্লি পাঠিয়েছেন...।'
মাইসোরে সাংবাদিকদের মুখ𓃲োমুখো হয়ে বিজয়েন্দ্র দাবি করেন, সমস্ত ঘটনা একসঙ্গে বিচার করলেই বোঝা যাচ্ছে, সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন।
বিজেপি নেতা ꦬআরও বলেন, 'যে মুহূর্তে পদযাত্রা (মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বেঙ্গালুরু থেকে মাইসোর পর্যন্ত মিছিল) শেষ হবে, কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। আমি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করছি না। দশেরার সময়, আমি বলছি মুখ্যমন্ত্রী যেকোনও মুহূর্তꦜে পদত্যাগ করতে পারেন। এমনই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।'
বিজয়েন্দ্র আরও দাবি করেছেন, তাঁর কাছে নির্দিষ্ট সূত্র মারফত খবর এসেছে। কংগ্রেসের হাইকম্♛যান্ড অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সিদ্দারামাইয়াকে সরানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে!
বিজেপি🔯 রাজ্য সভাপতি আরও দাবি করেন, '...সিদ্দারামাইয়া নিজেও এই সম্পর্কে সব জানেন। সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস যে সরকার গড়ে তুলেছে, তা রাজ্যের কাছে একটা অভিশাপ। ওঁর পদত্যাগ করার সময় এসে গিয়েছে। দশেরার পরই তিনি পদত্যাগ করবেন। আমরা সর্বত্রই এই কথা শুনছি।'
উল্লেখ্য, মাইসোর আরবান ডেভলপমেন্ট অথোরিটি (মুডা)-র অধীনে থাকা ১৪টি প্লট বেআইনিভাবে হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে সিদ্দারামাইয়ার ব𒁃িরুদ্ধে। ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী পার্বতীর নামও। আদালতের নির্দেশে লোকায়ুক্ত তদন্ত শুরু করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ইডি-ও।