মুম্বইয়ের মাধ এলাকায় ফিল্ম তৈরির স্টুডিও ভেঙে দিল বিএমসি। বিগ বাজেটের একাধিক ছবির সুটিং হয়েছিল এই স্টুডিওতেই। সূত্রের খবর, রাম সেতু, আদিপুরুষ সহ একাধিক ছবির সুটিং হয়েছিল এই স্টুডিওতে। আর সেই স্টুডিওই ভেঙে দিল বিএমসি। এই স্টুডিওর মালিক হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আসলাম শেখ। পরিবেশ মন্ত্রক ও ইডির নজরে আগেই এসেছিল এই স্টুডিও।ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে এবার সেই স্টুটিও জেসিবি দিয়ে ভেঙে দিল বিএমসি। কিন্তু কেন এই স্টুডিও ভাঙার উদ্যোগ?অভিযোগ তোলা হয়েছিল উপকূল এলাকার পরিবেশ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই স্টুডিও তৈরি হয়েছিল। বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়া এনিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন আদিত্য ঠাকরের আশীর্বাদেই এই স্টুডিও তৈরি হয়েছিল। বিএমসির কমিশনার সব কিছু জেনেও চুপ করে ছিলেন। এদিকে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীকে এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কীভাবে এই অবৈধ নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। তবে এবার সেই স্টুডিওই ভেঙে দিল বিএমসি। এদিকে গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি এমপি কিরিত সোমাইয়া। তিনি জানিয়েছিলেন বেআইনীভাবে বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে।১০০০ কোটি টাকা ব্যয় করে এখানে বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে।এদিকে অভিযোগ উঠেছে অস্থায়ী কাঠামোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখানে স্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়। প্রচুর স্টিল ও কংক্রিট ব্যবহার করে এখানে কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। এটা আইনবিরুদ্ধ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।এনজিটি তাদের নির্দেশে জানিয়েছিল, একটা অস্থায়ী কাঠামো তৈরির ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই জায়গায় স্থায়ী কাঠামো করা হয়েছে।সমস্ত নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই স্টুডিও তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরিবেশের নিয়মকে লঙ্ঘন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এবার সেই স্টুডিওকে ভেঙে দেওয়া হল। অভিযোগ মালাদ দ্বীপে পরিবেশ বিধিকে লঙ্ঘন করে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে ব্যাঙের ছাতার মতো একাধিক স্টুডিও গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।