একদিকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। অন্যদিকে বেশিরভাগ দেশেই সুদের হার বাড়া♎চ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগে বাজার বিনিয়োগকারীরা। এই কঠিন পরিস্থিতির প্রভাব সরাসরি পড়ছে স্টক মার্কেটে। ২২ ফেব্রুয়ারি শেয়ার বাজারে কার্যত বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ভারতের বাজারের বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স এবং নিফটি- দুই ক্ষে⛄ত্রেই এদিন বিশাল ক্ষতি হয়েছে। তবে শুধ♚ু ভারত নয়। বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারের সূচকগুলির প্রবণতাই যেন প্রতিফলিত হয়েছে ভারতে।
ব🤡ুধবার বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শেয়ার গত এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে তাদের সর্বনিম্ন স্তরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। US ট্রেজারির রিটার্ন গত বছরের নভেম্বরের পর থেকে তার সর্বোচ্চে স্তরে পৌ🦩ঁছে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার সম্পর্কে নতুন করে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বাজারে। আর এটিই বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণ বাজারে মন্দা এবং ব্যাঙ্কে সুদের হার বেশি থাকলে, বাণিজ্য, শেয়ারে বেশি বিনিয়োগ করতে চান না বিনিয়▨োগকারীরা। কেন? কারণ বাজারে তো এমনিতেই মন্দা। সেখানে বিনিয়োগকৃত সংস্থার ভাল পারফর্ম করার সুযোগ কম। আর ব্যাঙ্কে যদি এমনিতেই আমানতে, ট্রেজারির রিটার্নে সুদ বেশি আসে, সেক্ষেত্রে ঝুঁকি নিয়ে লাভ কী?
মার্কিন মুলুকের অবস্থা শোচনীয়। এখন পর্যন্ত🍌 চলতি বছরের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্সে দাঁড়িয়ে আছে ওয়াল স্ট্রিট। Nasdaq ২.৫০ শতাংশ এ🐓বং ডাও জোন্স ও S&P 500 -প্রতিটিই ২ শতাংশ কমেছে।
ইউরোপীয় বাজারেও হাঁড়ির হাল। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটেন, ফ্রান্সের CAC এবং জার্মানির DAX এদিনꩲ ১ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
গার্হস্থ্য ইক্যুইটি বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স এদিন ইন্ট্রাডে-তে প্রায় 991 পয়েন্ট কমে 59,681.55-তে এসে দাঁড়ায়। দিনের শেষে 928 পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ কমে 59,744.98-তে ক্লোজ হয়েছে। নিফটি 50-ও 272 পꦛয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ কমে 17,554.30-তে ক্লোজ হয়েছে।
BSE ম💖িডক্যাপ সূচক ১.১৬ শতাংশ এবং স্ཧমলক্যাপ সূচক ১.০৯ শতাংশ কমে গিয়েছে।
BSE-তে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির সামগ্রিক বাজ🎐ার মূলধন আগের সেশনে ২৬৫.২ লক্ষ কোটি টাকা থেকে নেমে ২৬১.৩ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ফলে মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। এদিন এই এক সেশনেই প্রায় ৩.৯ লক্ষ কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গিꦆয়েছে।
আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি টোটাল গ্যাস, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ, বায়োকন, গোদরেজ প্রোপার্টিজ, ইপকা ল্যাবস এবং লরাস ল্যাবস সহ ২৬৬টি স্টক এদিন BSE-তে ইন্ট্রা▨ডে ট্রেডিংয়ে তাদের ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।
অপরিশোধিত তেলের দ🔴াম এই নিয়ে টানা তৃতীয় সেশন জুড়ে কমে লেনদেন হয়েছে। কেন? কারণ US ফেড(মার্কিন কেন্দ্রীয়ꦆ ব্যাঙ্ক) ফের সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিকে সেটি সত্যি হলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানির চাহিদায় সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল প্রতি ৮২ ডলারের কাছাকাছ🎀ি দরে ট্রেড করে। রুপি এদিন ৬ পয়সা কমে ডলার প্রতি ৮২.৮৬ টাকায় ক্লোজ হয়েছে।
আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার এদিন দারুণ ধাক্কা খেয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের মতো শেয়ারই প্রায় ১১.০৫% হ্রাস পেয়েছে। এই বিষয়ে বিশদে জানতে ক্লিক করুন: Wikipedia-র পেজ এডিট করানোর অভিযোগ𝓡! ধস আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারে