ꦿ উত্তরবঙ্গ লাগোয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাঙ্কার নির্মাণ করছিল বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী, অর্থাৎ - বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)। কিন্তু, ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স)-এর তৎপরতায় সেই অপচেষ্টা বন্ধ হল। শুক্রবার বিজিবি-র ওই বেআইনি বাঙ্কার নির্মাণ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ।
ꦰপুলিশ সূত্রে সামনে আসা এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিএসএফ-এর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকও। তিনি বলেন, '৩১ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার এলাকার অধীনে দহগ্রাম আঙড়াপোতায় একটি সেন্ট্রি পোস্ট বাঙ্কার নির্মাণ করছিল বিজিবি। ওই এলাকা আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ ইয়ার্ডের মধ্যে ছিল। তারপরই বিষয়টিতে বিএসএফ হস্তক্ষেপ করে।'
༺এছাড়াও, এই এলাকায় সীমান্তের কাঁটাতারের মাত্র ১৫০ মিটারের মধ্য়ে একটি নির্মাণ শুরু করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুব সম্ভবত সেখানে একটি ঘর তৈরি করা হচ্ছিল। বিএসএফ সেই নির্মাণকাজও বন্ধ করে দেয়।
ꦡপ্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর নানা এলাকায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেআইনি বিভিন্ন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ করতে বিএসএফ-এর তরফে কমানড্যান্ট পর্যায়ের একটি ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের ডাক দেওয়া হয়।
♑গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই বিজিবি ও বিএসএফ-এর মধ্যে টানাপোড়েন ক্রমশ বাড়ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে। এমনকী, একাধিকবার বিএসএফ-কে পর্যন্ত বাংলাদেশিদের হামলার শিকার হতে হয়েছে।
🤪সীমান্তে বারবার বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয় বলেই দাবি সূত্রের।
𒈔ঘটনাস্থলে মোতায়েন থাকা বিএসএফ আধিকারিকদের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হাসিনার আমলে সীমান্ত এলাকায় একাধিক বৈধ নির্মাণে সম্মতি জানিয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। কিন্তু, বিজিবি সেই ঘোষিত সিদ্ধান্তগুলি থেকে সরে যাচ্ছে। ফলে জটিলতা বাড়ছে।
꧑যেমন - শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সুখদেবপুর গ্রামে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষই সহমত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রায় চার বছর আগে। কিন্তু, এখন সেই প্রকল্প রূপায়নে বাধ সাধছে বিজিবি। অথচ, তারা নিজেরা বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি বাঙ্কার নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি এই ধরনের একাধিক বাঙ্কারে অভিযান চালিয়েছে বিএসএফ। সেখান থেকে মাদক ও অস্ত্র পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।
ꩵবিএসএফ-এর এক আধিকারিক জানান, 'গত সপ্তাহেই কোচবিহারের কুচলিবাড়ির ঝিকাবাড়ি এলাকায় সীমান্তের ১৫০ ইয়ার্ডের মধ্য়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা দু'টি বেআইনি বাড়ি তৈরির চেষ্টা করেন। বিজিবি-র চোখের সামনেই এইসব ঘটনা ঘটছে। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। কারণ, এই ধরনের নির্মাণে দুই পক্ষেরই সায় ও সমর্থন থাকা আবশ্যিক।'