ঘিয়ের গন্ধ কার না ভালো লাগে! কিন্তু সারাক্ষণ কেজি-🍷কেজি ঘিয়ের গন্ধ এলে কি আদৌও ভালো লাগবে? সেই উত্তরটা আছে মুম্বইয়ের দাদারের কামানা সিএইচএস আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে। যাঁরা শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের ঢিলছোড়া দূরত্বে থাকেন। ওই আবাসনের প্রবীণ নাগরিকদের বক্তব্য, গণপতি বাপ্পার প্রসাদ হিসেবে যে কেজি-কেজি লাড্ডু তৈরি করা হয়, সেটার জন্য স্বভাবতই প্রচুর পরিমাণে ঘি ব্যবহার করা হয়। সেই ঘিয়ের গন্ধে টেকা দায় হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। সমস্যা সমাধানের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেছেন ওই আবাসনের প্রবীণ নাগরিকরা।
ওই আবাসনের বাসিন্দা ঊষা ধাবোলকর জানিয়েছেন, ২০২০ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত যেখানে লাড্ডু তৈরি করা হয়, সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র লাড্ডু তৈরির কাজ চালানোর আর্জি জানিয়ে আসছেন। যখন বিষয়টি উত্থাপন করা হচ্ছে, তখন আশ্বাস মিলছে। কিন্তু আদতে কিছু কাজের কাজ হচ্ছে না। সেইসঙ্গে ঊষার দাবি, সত্তরের দশকে জানালা থে🦩কে মুখ বাড়িয়েই গণপতি বাপ্পার দর্শন করতে পারতেন। সেটা এক অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু এখন সবকিছুতেই বাণিজ্যিক রং চড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ঊষা।
একইসুরে মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারাও। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে লাড্ডু তৈরি হয়, সেটা আসলে প্রতীক্ষালয় ছিল। ওখানে কেজি-কেজি ঘি রাখা থাকে। তাই꧙ শুধু যে ঘিয়ের গন্ধে আবাসনের বাসিন্দাদের নাক ‘অস্থির’ হয়ে ওঠে, তা নয়, অগ্নিকাণ্ডেরও আশঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, রান্নাঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কাজকর্ম করে নিয়ম লঙ্ঘন করছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে সিল করা প্যাকেটে লাড্ডু বিতরণের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
আবাস♑নের বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম নির্দেশ দিয়েছে যে শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের একতলায় যে ঘি রাখা হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ ঘি অত্যন্ত দাহ্য বস্তু। ইতিমধ্যে শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পরিদর্শন করে গিয়েছেন পুরকর্তা এবং দমকল বিভাগের আধিকারিকরা। যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Ghee in Summer: প্রচণ্ড গরম পড়েছে, এই সময়ে ঘি খাওয়া কি ঠিক? কী ♎বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিষয়টি নিয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের ট্রাস্টি এবং প্রাক্তন চেয়ারপার্সন বিশাখা রাউত জানিয়েছেন, সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণে সিসিটিভির নজরদারিতে মন্দির চত্বরেই প্রসাদ তৈরি করা হয়। মূলত জোরালো হাওয়ার কারণ ঘিয়ের গন্ধ আবাসনে চলে যাচ্ছে। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের জন্য চিমনির অভিমুখ ঘোরানোর প🔴রিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের ট্রাস্টি এবং 📖প্রাক্তন চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: Ghee or butte�ꦗ�r: ঘি না মাখন? কোনটায় শরীরের ভালো? বিশেষজ্ঞদের মত জানলে ভুল করবেন না আর
যদিꩲও তাঁর বক্তব্য, 'শিরডি, তিরপুতি বালাজির মতো দেশের সব মন্দিরে এরকমভাবেই যাবতীয় কাজ🔥কর্ম হয়। ২০০০ সাল থেকে আমরা এখানে লাড্ডু তৈরি করছি। এখনই কেন ওঁরা শুধু গন্ধ পাচ্ছেন?' সেইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘আবাসনও সরানো যাবে না, মন্দিরও সরনো যাবে না। তাই আমরা সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা করছি।’