'গ্রেস' দিয়ে বিহারের সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির ৪,৫০০-এর বেশি পড়ুয়া পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি স্কুলের অনুমোদনপ্রাপ্ত ৬৬৫ টি স্কুলের ৪,৫০০-এর বেশি পড়ুয়াকে পাঁচ নম্বর পর্যন্ত বাড়তি নম্বর বা 'গ্রেস' দিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে। যে পড়ুয়ারা সামান্য নম্বরের জন্য পাশ করতে পারবে না, তাদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার ফলে বিহারে দ্বাদশ শ্রেণির সার্বিক পাশের হারও বাড়বে বলে মত শিক্ষা মহলের।এমনিতে গত মাসের গোড়ার দিকেই দ্বাদশ শ্রেণি পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে সিবিএসই। আগেই বাতিল করা হয়েছিল দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। ইতিমধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি সুপ্রিম কোর্টে আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। যা বজায় রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ ধরা হরে দশম শ্রেণির। একাদশ শ্রেণির নম্বর ধরা হবে ৩০ শতাংশ। আর বাকি ৪০ শতাংশ নম্বর দ্বাদশ শ্রেণির। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত হবে। আর ফলাফল প্রকাশের পর যে পড়ুয়ারা সন্তুষ্ট হবেন না, তাঁরা ঐচ্ছিক পরীক্ষার জন্য অনলাইনে নথিভুূক্ত করতে পারবেন। যে পড়ুয়ারা সেই ঐচ্ছিক পরীক্ষায় বসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী ১৫ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুধুমাত্র মূল বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ আশ্বাস দেন, ‘যদি তোমরা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট না হও, তাহলে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। যে পড়ুয়ারা মনে করবে, তাদের যোগ্যতার প্রতি অবিচার হয়েছে, নিশ্চিতভাবে তাদের যোগ্যতার প্রতি ন্যায় হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই অগস্টে আমরা তাদের পরীক্ষা নেব। তাই কোনওরকম আশঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’