সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগেই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত বিপুল সংখ্যক ভারতীয়র মুখে হাসি ফোটাতে চলেছে মোদী সরকার। অনেকটা বাড়তে পারে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি এবং সেটি বাধ্যত﷽ামূলক হতে পারে রাজ্যদের জন্য। বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি কেন্দ্র বেঁধে দিলেও রাজ্যদের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই কর্মীদের সেই টাকা দেওয়ার। কেন্দ্রের আশা ২০২১ সাল থেকে এসপি মুখার্জির নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রস্তাবিত ফ্লোর ওয়েজ চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে কার্যকর করা হতে পারে।
এই কমিটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। সেই রিপোর্ট প্রায় চূড়ান্ত, একটি বৈঠকের অপেক্ষা বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটি শ্রমিকের জন্য দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ১৭৬ টাকা। এদের প্রায় ৯০ শতাংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। এই হার রাজ্যগুলির জন্য আইনত বাধ্যতামূলক নয়। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং মুদ্রাস্ফীতির জন্য এই হারে সংশোধন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় কমিটি। মজুরি কোড ২০১৯-এর অধীন নয়া ন🉐্যূনতম মজুরি বাস্তবায়িত হলে রাজ্যগুলিতে তা বাধ্যতামূলক হবে। এই আইন কেন্দ্রীয় সরকারকে শ্রমিকদের ন্যূনতম জীবনযাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে ফ্লোর মজুরি প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা দেয়।
২০১৯ সালে অনুপ সতপথির নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি দৈনিক ৩৭৫ টাকা ফ্লোর মজুরির প্রস্তাব দিয়েছিল, যা সরকার প্রত্যাখ্যান করেছিল কারণ এতে রাজ্যগুলির ওপর বিপুল আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দিত। বর্তমান কমিটি🐠 এখনকার ১৭৬ ও আগের ৩৭৫-এর সুপারিশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
আলোচনায় জড়িত নিয়োগকর্তাদের এক প্রতিন♈িধি জানিয়েছেন যে আর্থিক বোঝা যাতে খুব বেশি না চাপে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ওপর সেটা মাথায় রাখা হচ্ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতি, পরিবার চালাতে যা খরচ হয়, খাদ্য ও অন্যান্য জিনিস কিনতে সেই সব হিসাব করেই চূড়ান্ত সংখ্যাটি ঠিক করা হবে।
কোড অন ওয়েজ, ২০১৯ অনুযায়ী, বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলের জন্য বিভিন্ন ফ্লোর মজুরি নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। তবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম হার বিদ্যমান ফ্লোর মজুরির থেকে কম হলে, শ্রমিকদের মজুরি কাটা যাবে না। বর্তমানে, কিছু রাজ্য তাদের দৈনিক মজুরির পরিমাণ ১৭৬ টাকার কম রেখেছে। কিছু জায়গায় আবার তার থেকে বেশি আছে। ফলে ন্যূনতম মজুরিতেও রয়েছে বৈষম্য, ফলে বাড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের এক জায়গা থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার প্রবণতা। কেন্দ❀্রের সংশোধিত মজুরির সিদ্ধান্তের পর এই ট্রেন্ডে কোনও বদল আসে কিনা, সেটাই দেখার।