ছোটবেলায়, স্কুলে পড়ার সময়, যখন খুদে পড়ুয়ারা কখনও কোনও ভুল করে, তখন অনেক সময় তাদের সেই ভুল সংশোধন করার সময় 'সঠিক' কাজটি বারবার ꦐখাতায় লিখতে বলা হয়! এমন 'শাস্তি' স্কুল জীবনে হয়তো অনেকেই পেয়েছেন। কিন্তু, তা বলে চাকরি করতে এসেও কি এমন 'শাস্তি'র মুখে পড়া যায়? তাও কিনা সংস্থার সিই꧅ও-কে 'ম্যাম' বলে সম্বোধন না করার জন্য? অবাক হচ্ছেন? কিন্তু, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে এমনই দাবি করা হচ্ছে। যা নিয়ে চলছে জোর চর্চা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, কোনও একটি সংস্থার কোনও এক কর্মী তাঁদের সিইও-কে 'ম্যাম' না বলে, তাঁর নাম ধরে সম্বোধন করেছিলেন। আর, তাতেই নাকি বেজায় ক্ষেপে যান ওই সিইও। তিনি ওই কর্মীকে এক আজব শাস্তি দেন - যা নাকি নেহাতই ছেলেমানুষি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মানসিকতা বলে মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ। কারও কারও 🌺মতে, এই আচরণে আদতে ক্ষমতার দম্ভ ও ঔদ্ধত্য!
ওই সিইও সংস্থার ওই কর্মীকে বলেন, তাঁকে একটি কাগজে ১০০ বার পেন দিয়ে লিখতে হܫবে - 'আমি আপনাকে আপনার নাম ধরে ডাকব না'! এবং তারপর সেই লেখা-সহ পৃষ্ঠাটির ছবি অফিসের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করতে বলেন ওই সিইও।
এই প্রসঙ্গে আরও যেসব তথ্য সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেই অনুসারে - যে কর্মীকে ওই সিইও এই 𝓡শাস্তি দিয়েছেন, তিনি আদতে সংস্থার একজন 'সি🔜নিয়র' কর্মী এবং তাঁকে এভাবে হেনস্থা করার বিষয়টি বাকি কর্মীরা যে মোটেও ভালোভাবে মেনে নিচ্ছেন না, সেটা তাঁদের পারস্পরিক হোয়াট্সঅ্য়াপ চ্যাটের স্ক্রিনশট থেকেই বোঝা যাচ্ছে (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি)!
সেই ভার্চুয়াল কথোপকথন থেকে জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট স📖িইও এই শাস্তি ভোগ করার জন্য ওই সিনিয়র কর্মীকে একদিন মাত্র (ইওডি) সময় দিয়েছিলেন। আরও জানা গিয়েছে, গত এক বছরে কখনও ওই সিইও কাউকে বল☂েননি যে তিনি তাঁর নাম ধরে সম্বোধন করা পছন্দ করেন না বা তিনি চান না যে অফিসে কেউ তাঁর নাম ধরে ডাকুন!
বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় চাউর হতেই নেটিজেনরা এমন আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন। এক ইউজার লিখেছেন - 'ভারতেই আমি দেখেছি, উর্ধ্বতন পদে থাকা ব্যক্তিদের হয় স্যার অথবা 🐲ম্যাম বলে ডাকতেই হয়! যেন এটাই নিয়ম। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরাজ খতম হয়ে গিয়েছে। ক♔িন্তু, আমাদের সাহেবি মানসিকতা এখনও যায়নি।'
আর একজন লেখেন, 'আমি হলে একবারই একটা কথাই লিখতাম, আমি চাকরি ছাড়লাম।꧂'
আর একজন আবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য কর্মীদের মধ্য়ে একতার অভাবকেই দায়ী করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'যাঁরা তাঁদের স্বার্থরক্ষা করতে নিজেদের লড়াই একজোট হয়ে লড়তে❀ পারেন না, তাঁদের সঙ্গে এমনই হওয়া উচিত।'
কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন, তাঁদের সংস্থাতেও নাকি এই ধরনের ꦉঘটনা ঘটেছে।
এক ইউজার যেমন লিখেছেন - 'আমার বয়ফ্রেন্ড যে সংস্থায় কাজ করেন, সেখানে যদি কেউ ছুটি চেয়ে ইমেল করেন, তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই ছুটি মঞ্জুর করা হয় না, যতক্ষণ না সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ম্যাম বলে সম্বꦺ🎃োধন করা হচ্ছে!'
অনেকেই বলছেন, যে সংস্থায় এমন আজব ঘটনা ঘটেছে, সেই সংস্থাಞর নাম প্রকাশ্য়ে আনা হোক। রসিকতার ছলে এক ইউজার লিখেছেন, 'সংস্থার নামটা বলুন, দ🍃েশ জানতে চায়।'
আর একজনের কথায়, 'সংস্থার ꦆনাম প্রকাশ্যে আনুন। যাতে আমরা ওই সং🍎স্থাকে এড়িয়ে চলতে পারি।'
যদিও প্রথম যিনি এই সংক্রান্ত পﷺোস্টটি করেছিলেন, তিনি লেখেন, 'আমি নাম 𝓰প্রকাশ্যে আনতে পারব না। তবে, এটি একটি মার্কেটিং এজেন্সি। এবং খুবই ছোট একটি সংস্থা। আমার বন্ধু সেখানে কর্মরত। আশা করি, আপনারা বুঝবেন।'