চাঁদের বুকে ইতিহাস গড়ল ভারত। পৃথিবীর উপগ্রহের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম কোনও দেশ পা রাখল। আর সেই দেশের নাম ভারত! বিশ্বের ইতিহাসে একটি নয়া শিরোপা গড়ে দিল ভারতীয় উপমহাদে𝔍শ। ২৩ অগস্ট সন্ধ্যা ছটা চার মিনিটে ইসরো একটু টুইট করে।সেই টুইটে চন্দ্রযান-৩-এর বয়ানে লেখা হয় ‘আমি চাঁদে পৌঁছে গিয়েছি ভারত।’ এর সঙ্গে সঙ্গেই প্রচণ্ড খুশির উল্লাসে ফেটে পড়েন ইসরো বিজ্ঞানীরা।
(আরও পড়ুন: ২০১৯-র কান্না ২০২৩-তে পরিণত হল হাসিতে, খুব খুশি ISRO-র 🌜প্রাক্তন প্রধান)
(আরও পড়ুন: আগে বলা হত অনেক দূরে আছে চন্দ্র,🐻 এবার বলবে এক ট্যুরেই চাﷺঁদমামা, বললেন মোদী)
এর পর কী করবে চন্দ্রযান-৩? চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রম নামবে। এই সময় তার একটি অংশ স্বয়ংক্রিয় ভ🌜াবে খুলে যাবে। একটি ঢালু পথ নেমে আসবে চাঁদের মাটিতে। আর ওই পথ বেয়েই চাঁদের বুকে রোভার প্রজ্ঞান নেমে আসবে ।
রোভার প্রজ্ঞানের কী করবে?: রোভার প্রজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিনꦡ যন্ত্রপাতি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অনেক কিছুই এখনও মানুষের অজানা। সেই দিকগুলি নিয়েই খোঁজ শুরু করবে রোভার প্রজ্ঞান। কোন কোন উপাদান দিয়ে চাঁদের মাটি তৈরি, তা খতিয়ে দেখে পৃথিবীতে তথ্য পাঠাবে প্রজ্ঞান। আগামী দু’সপ্তাহ ধরে এর স্পেকট্রোমিটার বিশ্লেষণ করবে। এর সাহায্যে চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে তা খুঁটিয়ে দেখবে। এছাড়াও ওই অঞ্চলের আবহাওয়া সম্পর্কেও তথ্য পাঠাবে রোভার প্রজ্ঞান। এই পরীক্ষাগুলি করার জন🐲্য ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে রয়েছে পাঁচ ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি।
আগেরবার ২.১ কিলোমিটার যখন চন্দ্রযান ২-র সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, তখন ইসরোর প্রধান ছিলেন। কেঁদে ফেলেছিলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে শিভান বলেন, 'আমরা অত্যন্ত উত্তেজিত। দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করছিল🎀াম। আমি অত্যন্ত খুশি।' তাঁর মুখে চওড়া হাসি দেখা গিয়েছে।