কর্ণাটকের মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পার ‘গেরুয়া পতাকা’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল কর্ণাটক বিধানসভা। পরিস্থিতিত এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে যে বিধান পরিষদে কংগ্রেস ও বিজেপির সদস্য হাতাহাতি করার পর্যায়ে চলে আসেন। উল্লেখ্য, এর আগে কর্ণাট🌠কের মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা বলেছ🤡িলেন, ‘ভবিষ্যতে ভারতের জাতীয় পতাকা হতে পারে গেরুয়া।’ আর এই নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়।
এই আবহে বুধবার রাজ্য 💙কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। দু’জনই একে অপরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ এবং ‘ডাকাত’ বলে ডাকে। সেই সময় অন্যান্য সদস্যরা মার্শালদের ডাকার আগে এবং অধিবেশন মুলতবি করার আগেই উত্তপ্ত তর্কাতর্কি শুরু হয় বিধানসভায়।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়া বলেন, ‘ঈশ্বরাপ্পা বলেছেন যে লালকেল্লায় গেরুয়💮া পতাকা উত্তোলন করা হবে। লালকেল্লায় শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এটাই জাতির গর্ব। তাঁর বক্তব্য সংবিধান ও দেশের জন্য অপমানজনক।’
উল্লেখ্য, হিজাব বিতর্কের মাঝেই শিবমোগไ্গায় একটি সরকারি কলেজে জাতীয় পতাকা নামিয়ে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে যদিও ঈশ্বরাপ্পা দাবি করেন, গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল, কিন্তু জাতীয় পতাকা নামানো হয়নি। গেরুয়া পতাকা যে কোনও জায়গায় উত্তোলন করা যেতে পারে, তবে জাতীয় পতাকা নামিয𓂃়ে নয়, এমনটি হয়নি এবং হবেও না। জাতীয় পতাকা সরানো হয়নি, শুধু গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ঈশ্বরাপ্পা আরও বলেন, ‘হিন্দুবিচার এবং হিন্দুত্ব নিয়ে দেশে আজ আলোচনা চলছে। একটা সময় ছিল যখন আমরা বলতাম অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হবে, তখন লোকে হাসত। এখন কি আমরা রামমন্দির নির্মাণ করছি না? একইভাবে ভবিষ্যতে কোনও এক সময় গেরুয়া পতাকাই আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারে। শত শত বছর আগে শ্রী রামচন্দ্র ও মারুতির রথের গায়ে গে🥀রুয়া পতাকা থাকত। তখন কি আমাদের দেশে তেরঙা পতাকা ছিল?’