করোনাভাইরাস আবহে ভারতে শিশুমৃত্যুর হার দক্ষিণ এশিয়ার ছ'দেশের মধ্যে সবচ🧸েয়ে বেশি।সেই সঙ্গে বেড়েছে গর্ভাবস্থায় মৃত্যুও। সম্প্রতি ইউনিসেফের রিপোর্টে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই বেহাল দশাই ফুটে উঠেছে, যা কেন্দ্রের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
করোনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের উপর কতটা পড়েছে, তা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ছ'টি দেশ - আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সমীক্ষা চালায় ইউনিসেফ। সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে, করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিশুদের উপর। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই শিক্ষাব্যবস্থা, শিশুদের উপর কম বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ভারতে। পাশাপাশি এই করোনার সম💜য় শিশু সুরক্ষা, রোগ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রদান, পরিবার পরিকল্পনা-সহ একাধিক পরিষেবাও যথেষ্টই ধাক্কা খেয়েছে। সেই সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এরপরই আছে পাকিস্তানের স্থান। আরও একটি বিষয় এই রিপোর্টে উঠে এসেছে, এই করোনার সময় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩০.৫ লাখ মহিলাদের অবাঞ্ছিত গর্ভবতী হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংখ্যাটা কম নয় - ৩০ লাখের বেশি।
একইসঙ্গে লকডাউনের কারড়ে দীর্ঘ সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় দেশের স্কুল ছুটের সংখ্যাও বেড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 𝄹ভারতে প্রায় ৭০ লাখ স্কল পড়ুয়া পাকাপাকি স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে ধারণা। ভারতের মতোই খারাপ অবস্থা শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশেও্। এই স্কুলছুটদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাও কম নয়।