দক্ষিণ চিন সাগরের পারাসেল দ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রসীমায় এবার যুদ্ধ জাহাজ নামানোর ডাক দিয়েছে বেজিং। উল্লেখ্য়,মার্কিন মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধাস্ত্রকে নিশানায় রেখে কার্যত🦹 আমেরিকাকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে চিন শুধু যুদ্ধজাহাজই নাম☂াচ্ছে না, তার সঙ্গে আকাশপথে যুদ্ধবিমানের নজরদারিকেও যুক্ত করছে। মার্কিনি অস্ত্রের দিকে যাতে নজরদারি বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টাতেই এমন কর্মকাণ্ড চলছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, চিনের অনুমতি না নিয়েই মার্কিনি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস বেনফোল্ড চিনের সীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে গিয়েছে বলে দাবি চিনা সেনার সাদার্ন থিয়েটার কমান্ডের। তাদের দাবি দেশের সার্ব🧜ভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে মার্কিন সেনার এই জাহাজ দক্ষিণ চিন সাগরের সীমায় এসে পৌঁছেছে। থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, 'মার্কিন সেনার কার্যকলাপ গুরুতভাবে আঘাত হেনেছে চিনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তায়।' লালফৌজেবর মতে, আমেরিকার এই কার্যকলাপ মূলত, দক্ষিণ চিন সাগরে সেনা কার্যকলাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। চিনের দাবি, মার্কিন পক্ষকে অবিলম্বে এমনু পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে,'নয়তো গুরুতর ফলাফল ভোগ করতে হবে' বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং।
এদিকে, একচুলও জমি না ছেড়ে জবাব দিয়েছে মার্কিন সেনা। তারা জানিয়েছে, 'ফ্রিডম অফ নেভিগেশন অপারেশন' সংক্রান্ত নীতিতে তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলাচল করছে সাগরে। চিনের কোনও সতর্কবার্তায় মার্কিন জাহাজ ফিরে এসেছে, এমন বক্তব্যকেও উড়িয়ে দিয়েছে পেন্টাগন। আমেরিকা জানিয়েছে, 'আন্তর্জাতিক জলসীমায় তারা স্বাভাবিক অপাꦏরেশন চালিয়েছে।' মার্কিনি সেনা জানিয়েছে, পারাসেল আইল্যান্ডের কাছে জলসীমায় ভেসে থাকা নৌ-সংক্রান্ত অধিকার ও স্বাধীনতার আওতায় পড়ে। উল্লেখ্যস সম্পূর্ণ দক্ষিণ চিন সাগর তাদের এলাকা বলে বহু আগে থেকেই দাবি করেছে চিন। তবে সেই দাবি নস্যাৎ♑ করে, জলসীমায় নিজেদের অধিকার কায়েম করতে তৎপরতা নিয়েছে, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া। বিতর্কিত পারাসেল আইল্যান্ড নিয়ে চিন , তাইওয়ান ও ভিয়েৎনাম ইতিমধ্যেই নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে। সেই জায়গা থেকে, তাইওয়ান ও আমেরিকার সখ্যতা খুব একটা সহজভাবে নেয়নি চিন। উল্লেখ্য, মার্কিন-তিন বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে বারবার প্রভাব ফেলেছে এই দক্ষিণ চিন সাগর।