পূর্ব লাদাখে চিন-ভারত সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনাকর্মী শহিদ হলে চিনে কমপক্ষে ৪০ জন সৈনিক মারা গিয়েছেন। এমনই দাবি প্রাক্তন সেনাপ্রধান অধুনা কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ভি কে সিংয়ের।গত শনিবার TV News24 চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি আমাদের দিকে ২০ জন শহিদ হয়ে থাকেন, তা হলে ওদের দিকে কমপক্ষে দ্বিগুন সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে।’ গত সোমবার লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘর্ষে কুড়ি জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন এবং কমপক্ষে ৭৬ জন জখম হন। চিন অবশ্য এখনও পর্যন্ত গালওয়ান উপত্যকায় ওই সংঘর্ষে তাদের ক্ষয়ক্ষতির কোনও হিসাবই দাখিল করেনি।তবে নিজের দাবির সপক্ষে কোনও যুক্তি, প্রমাণ বা তথ্য পেশ করেননি ভি কে সিং। তাঁর মতে, ১৯৬২ সালে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শুরু করে কখনই সংঘাতে চিনা সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি বেজিং। প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘাতের পরে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানায়, চিনা সেনাবাহীনিতেও হতাহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পরে সবিস্তারে এ সম্পর্কে কিছু জানায়নি গ্রোবাল টাইমস। ভি কে সিংয়ের দাবি, গত সোমবারের সংঘাতে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়া চিনা সৈন্যদের আটক করা হলেও পরে তাঁদের চিনের পিএলএ ফৌজের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে ভি কে সিংয়ের সাক্ষাৎকারে করা মন্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে অসীকার করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ভারত ভূষণ বাবু। সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) নিয়ে বিবাদের জেরে এই নিয়ে বেশ কয়েক বার চিন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত ঘটেছে। যদিও সমস্যার সমাধানে অসংখ্য বার কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জটিলতা দূর হয়নি। চিনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন আমেরিকার স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও।