লাদাখে ফের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি ওয়েস্টার্ন থিয়েটারে ১৭ হাজার ফিট উচ্চতায় অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার মোতায়েন করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। চিনা সেনার অফিশিয়াল সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হয়। জানা গিয়েছে রকেট লঞ্চারটি চিনের অধীনে থাকা জিনজিয়াং উইঘুর অটোনমাস রিজিয়নে মোতায়েন করা হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫২০০ মিটার উচ্চতায়। তবে সেই রকেট লঞ্চারের নির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি।পিএলএ ডেইলি অনুযায়ী বরফে ঢাকা পাহাড়ে এই অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন রকেট লঞ্চারটি ২০১৯ সালে চিনা সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে এটিকে সেনার ড্রিলের কাজে লাগানো হচ্ছে। এদিকে হংকং ভিত্তিক সাউথ চায়না পোস্ট দাবি করেছে, 'মোতায়েন করা রকেট লঞ্চারের রেঞ্জ জানা না গেলেও এটা নিশ্চিত যে এটি নির্দিষ্ট টার্গেটে আঘান আনতে সক্ষম।' এই প্রসঙ্গে চিনা সেনার এক প্রাক্তন প্রশিক্ষক সং ঝংপিং বলেন, 'এই লঞ্চারের অনন্ত পক্ষে ৩০০ মিলিমিটারের রকেট ধারণের ক্ষমতা থাকা উচিত। এবং অনন্ত পক্ষে ১০০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘান হানার ক্ষমতা থাকা উচিত।'এদিকে এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে ভারতীয় সেনাও তত্পরতা বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, চিনের এই রকেট লঞ্চার মোতায়েনের খবর এমন একটা দিনে প্রকাশিত হল যেদিন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি চিনা থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের সঙ্গে কথোপকথনে বলেন, পারস্পরিক সম্মান প্রদানের মাধ্যমে সীমান্তে দুই দেশের শান্তি ফেরানো উচিত।ভারত-চিন সীমান্তে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের পূর্ব লাদাখে চিনের দখলদারি নিয়ে দু'দেশের মধ্যে বিবাদের প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলল। এগারো বার বৈঠকের পরেও সমাধান হয়নি। বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করার নিয়ে বারে বারে অনীহা প্রকাশ করেছে চিন। সূত্র অনুযায়ী, শেষ বৈঠকে চিন ভারতকে বলেছে, ভারত যেটুকু পেয়েছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত তার। এই আবহে নতুন করে চিনের রকেট লঞ্চার মোতায়েনের খবর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে সীমান্তে।