সপ্তর্ষি দাসকলেজিয়াম নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় জানিয়ে দিলেন,গত তিনবছরে সরকার অন্তত ১৮টি কলেজিয়াম প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬টি প্রস্তাবকে ফের বজায় রেখেছে।এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কলেজিয়াম ইস্যুকে কেন্দ্র করে মন্ত্রক ও বিচারব্যবস্থার মধ্যে নানা চর্চা হয়েছে। মূলত বিচারপতিদের নিয়োগ নিয়েই নানা কথা হয়েছে। তবে গত ১৯৯৩ সাল থেকে বিচারপতিদের নিয়োগের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের আওতায় রয়েছে। এমনকী বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে র ও আইবির ইনপুট দরকার বলেও নানা কথা উঠে আসে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এনিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর মতে, সাতজন বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে শূন্যস্থান এখনও রয়েছে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য ৩৪ বিচারপতির বেঞ্চে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ৩০জানুয়ারি পর্যন্ত ১১০৮জন অনুমোদিত বিচারপতি পদের মধ্যে ৭৭৫জন বিচারপতি কর্মরত রয়েছেন, ৩৩৩জন বিচারপতির আসন শূন্য রয়েছে। ১৪২টি প্রস্তাব যেটি হাই কোর্ট কলেজিয়াম সুপারিশ করেছিল সেটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ১৪২টি প্রস্তাবের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের কাছে ৪টি পেন্ডিং রয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম সিস্টেম যার নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার সেই কলেজিয়ামের তরফে দুটি নামকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে। এই কলেজিয়াম সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতের প্রধান বিচারপতি ও চারজন সিনিয়র মোস্ট বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে ও হাইকোর্টের বিচারপতির নাম সুপারিশ করেন। এরপর ভারতের রাষ্ট্রপতি সংবিধান মোতাবেক সেই নামকে অনুমোদন দেন।তবে এই কলেজিয়াম সিস্টেমে বর্তমানে পাঁচজনের জায়গায় ৬জন বিচারপতি রয়েছেন। কারণ পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে পারেন এমন একজনকে ওই কলেজিয়াম সিস্টেমের মধ্যে থাকতে হয়। তবে যে চারজন সিনিয়র মোস্ট বিচারপতি কলেজিয়াম সিস্টেমে রয়েছেন তাঁদের মধ্য়ে কেউই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হবেন না। সেকারণেই কলেজিয়াম সিস্টেমে বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত দুটি পর্যায় রয়েছে। একটি হল হাই কোর্টের বিচারপতিরা পদোন্নতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির আসনে বসতে পারেন। অন্যদিকে সিনিয়ন আইনজীবীরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির আসনে বসতে পারেন। তবে কেবলমাত্র প্রধান বিচারপতি, ও অন্য দুজন সিনিয়র মোস্ট বিচারপতি হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ করতে পারেন।