সোমবার রাজস্থান কংগ্রেসের বিধায়ক দলের বৈঠকে যোগ দিলেন না বিক্ষুব্ধ নেতা ও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। গিল্লি থেকে অবজারভার হিসাবে রাজ্যে যাওয়া কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন যে তাঁরা গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেক বার সচিন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সচিন বা অন্য নেতাদের কোনও অভিযোগ বা অনুযোগ থাকলে দল তা শুনতে ও বিবেচনা করে দেখতে আগ্রহী বলেও জানান সুরজেওয়ালা। ৩০ জনের ওপর বিধায়কের সমর্থন আছে, এই দাবি করেছেন সচিন পাইলট। গেহলট সরকার সংখ্যালঘু এই দাবি করেন সিএলপি বৈঠকে অনুপস্থিত আছেন পাইলট ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু বিধায়ক। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পর আরেক হাই প্রোফাইল নেতার দল থেকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে পাইলট। এদিন রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন তাঁদের দরজা খোলা সচিন ও অন্য বিধায়কদের জন্য। কেউ বৈঠকে আসতে চাইলে রাজস্থান কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবিনাশ পাণ্ডেকে যোগাযোগ করতে পারে বলে জানান তিনি। এদিন পরিস্থিতি সামলাতে সুরজেওয়ালা, অজয় মাকেন ও পাণ্ডে জয়পুর গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দলের রাজ্য সভাপতি হলেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সচিন পাইলট। সুরজেওয়ালা বলেন যে কোনও পোস্ট বা প্রোফাইলে থাকা নেতা এসে দলীয় ফোরামে নিজের কথা বলতে পারেন। সমস্ত সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হবে সরকার বাঁচানোর জন্য। সুরজেওয়ালা বলেন যে গেহলট সরকারের কোনও সমস্যা নেই ও সেটা পাঁচ বছর চলবে। বিজেপির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন গেহলট সরকারকে চাপে ফেলার জন্য আইটি, ইডি, সিবিআইকে লেলিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর তরফ থেকেও সচিন পাইলটকে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে বারবার কথা বলার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান কংগ্রেস মুখমাত্র। অন্যদিকে কংগ্রেস কর্মীরা কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছেন। এইজন্যে জয়পুুরে দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে রাজ্য সভাপতি সচিন পাইলটের যাবতীয় ছবি।রাজ্য পার্টি অফিস কার্যত জনমানবহীন। কেন এইভাবে পোস্টার সরানো হচ্ছে, তা জিজ্ঞেস করা হয় জয়পুর জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী প্রতাপ সিংহকে। তিনি বলেন যে বিজেপি সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। মানুষ নেতাদের ভোট দিয়েছিল, এখন তাঁরাই জনাদেশকে অপমান করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।