হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে গণনায় কারচুপির অভিযোগ ꦜতুলেছিল কংগ্রেস। তবে নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। শুধু খারিজ করেছে তাই নয়, কার্যত বেনজিরভাবে এই অভিযোগকে ‘দায়িত্ব জ্ঞানহীন, ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ’ বলে ভবিষ্যতে যাতে এরকম না হয় তা নিয়ে কংগ্রেসকে সতর্ক করেছিল কমিশন। আর এবার পালটা এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। একইসঙ্গে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে👍ছে।
আরও পড়ুন: ভিত্তিহীন অভিযো෴গ অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে-হরিয়ানা ফলাফল নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ EC-র
নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ খারিজ করা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, যে নির্বাচন কমিশন নিজেকে ক্লিন চিট দিয়েছে তাতে তারা অবাক হয়নি। নির্বাচন কমিশন প্রতিক্রিয়ার যে ভাষা ব্যবহার করেছে সেটা সংবেদনশীল। কংগ্রেসের বক্তব্য, নির্বাচন সংস্থা ভুলে গিয়েছে অভিযোগ খ🐻তিয়ে দেখা তাদের কর্তব্য। মুখ্য নির্বাচন 𒆙কমিশনার রাজীব কুমারকে চিঠি লিখে কংগ্রেস আরও জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের জবাবি ভাষার যদি এই নমুনা হয়, তা হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও রাস্তা থাকবে না।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, হরিয়ানা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কংগ্রেসের তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। গত এক বছরের উদাহরণ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসকে অভিয💟ুক্ত করে, ‘ভারতীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মূল দিকগুলির উপর লাগাতার ভিত্তিহীন সন্দেহ করে আসছে কংগ্রেস। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করা হচ্ছে। কংগ্রেসের মতো একটি অভিজ্ঞ দলের কাছে এটি কাম্য নয়, এই অভ্যাসটি হতাশাজনক। সাম্প্রতিক অতীতেও এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।’
নির্বাচন কমিশন আরও ♔জানিয়েছিল, একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের কাছে এটি প্রত্যাশিত নয়। কমিশন দেশে নির্বাচনী গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে এবং শক্তিশালী করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির মতামতের সমালোচনাকে প্রশংসা করে এবং আশ্বাস দেয় যে এটি সময় মতো অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, হরিয়ানার কংগ্রেস প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, গত ৮ অক্টোবর গণনার সময় বেশ কিছু ইভিএমের ব্যাটারি ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ ছিল, ღযা অসম্ভব। কারণ ভোটের দিন জুড়ে মেশিনগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে এত শতাংশ চার্জ থাকা সম্ভব নয়। তাই এই মেশিনগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেসে। ৬০ থেক𒉰ে ৭০ শতাংশ ব্যাটারি ব্যাকআপ দেখানো ইভিএমগুলিতে বিজেপির অনেক কম ভোট ছিল। এরপরেই নির্বাচন কমিশনের কাছে গণনার সময় কারচুপি নিয়ে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের উত্তরে কংগ্রেসকে সতর্ক করতেই এবার পালটা নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিল দলটি।