সরকারের কাজের ভাষা শুধু হিন্দি ও ইংলিশ কেন, সেই নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলে যে সরকারের ১৯৬৩- সালের Official Languages Act -এ সংশোধনী আনা উচিত এবং দেশের সকল শিডিউল ভাষাকে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজের মান্যতা দেওয়া উচিত। সেটা হলে শুধু ইঁংলিশ বা হিন্দি নয়, যে কোনও ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করা যাবে। সংবিধানের অষ্টম শিডিউলে যে ভাষাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেগুলিকে শিডিউল ভাষা বলা হয়। এগুলিকে সরকারি স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ শুধু হয় ইংলিশ ও হিন্দিতে। এদিন প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আছেন যারা সবাই ইংলিশ বা হিন্দি জানেন না। সেখানে তাঁদের মাতৃভাষা ব্যবহার করতে পারলে সুবিধা হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন যে কর্নাটক, নাগাল্যান্ড বা মহারাষ্ট্রের গ্রামের লোকেরা হয়তো ইংলিশ বা হিন্দি নাও জানতে পারে। তিনি সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেন যে কেন্দ্রের উচিত অফিশিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যাক্টকে বদল করার । দিল্লি হাই কোর্ট হালে নির্দেশ দিয়েছে খসড়া পরিবেশ বিষয়ক অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে বিজ্ঞপ্তিটি যেন ২২টি শিডিউলড ভাষায় জারি করা হয় । এই সিদ্ধান্তের বিরু্দ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র।আদালতে বলা হয় যে সংবিধানের ৩৪৩ ধারা অনুযায়ী দেশের দুটি সরকারি ভাষা হচ্ছে হিন্দি ও ইংলিশ। আবেদনে বলা হয় যে সংবিধানে এটা বলা হয়নি যে সমস্ত শিডিউলড ভাষাকেই সরকারি ভাষা বলে গণ্য করা হবে।একই সঙ্গে এটাও বলা হয় অফিসিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যাক্টের তিন নম্বর ধারা অনুযায়ী শুধু হিন্দি ও ইংলিশ ব্যবহার করা হবে বিজ্ঞপ্তি, অর্ডার, নিয়ম ইত্যাদির ক্ষেত্রে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলে যে এই সব যুক্তি দিল্লি হাইকোর্টকে কেন দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রকে পিটিশনটি প্রত্যাহার করতে বলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বলা হয় যে চাইলে দিল্লি হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করুন। সেই পিটিশন না শোনা অবধি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও আদালত অবমাননার মামলা ঠোকা যাবে না বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সিজেআই বোবডে বলেন যে আইনের দিক থেকে কেন্দ্র সঠিক কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের ভাবনাটি সঠিক ছিল।