‘যখন ইচ্ছা হবে তখন মাংস খাওয়ার অধিকার সংবিধান আমায় দিয়েছে। একইভাবে একজন ব্যবসায়ীকেও ব্যবসা করার স্বাধীনতা সংবিধান দিয়েছে।’ মাংস বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে মহুয়া সাউথ দিল্লির বাসিন্দা। যে সাউথ দিল্লিতে নবরাত্রির সময় মাংসের দোকান বন্ধের ব্যাপারে দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সেখানকার মেয়র মুকেশ সুর্যান।এদিকে সাউথ দিল্লির পরে পূর্ব দিল্লিতেও মাংসের দোকান বন্ধের ব্যাপারে সওয়াল করেছেন সেখানকার মেয়র। তাঁর দাবি, বেশিরভাগ লোকজনই এই সময় মাংস খান না। এদিকে এর জেরে মঙ্গলবার এলাকায় বহু মাংসের দোকানে ঝাঁপ বন্ধ ছিল। এদিকে গোটা দেশজুড়েই এই মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেধেছে। আর মাংস বিক্রি নিষেধ করার পেছনে যখন সংখ্যাগুরুর কথা তুলে আনা হচ্ছে তখন পালটা টুইট করেছেন কাশ্মীরের ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তাঁর দাবি, ‘রমজান মাসে আমরা সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয়ের মাঝে মাংস খাই না। সেক্ষেত্রে সমস্ত অমুসলিম ও পর্যটকদের জন্য ওই সময় প্রকাশ্যে মাংস খাওয়া নিষেধ করা দরকার। বিশেষত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায়। সাউথ দিল্লিতে যদি সংখ্যাগুরুই প্রাধান্য পায় তবে জম্মু-কাশ্মীরের জন্যও সেকথাও খাটে।’ এদিকে দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ সাহিব ভার্মার দাবি, গোটা দেশেই নবরাত্রিতে মাংস নিষিদ্ধ করা দরকার। তারই পালটা কংগ্রেসের সলমন নিজামির দাবি, নবরাত্রিতে মাংস নিষিদ্ধ হলে রমজানের পবিত্র মাসে মদ নিষিদ্ধ হয় না কেন?