কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে করা আন্দোলন চালিয়ে যেতেই অনড় কৃষকেরা। কোনওমতেই তাঁরা ধরনা থেকে পিছুপা হবেন না—বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। শনিবার কুরুক্ষেত্রে এক সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ কৃষক বিরোধী তিনটি বিল যতক্ষণ না—কেন্দ্র প্রত্যাহার করছে, ততদিন পর্যন্ত কৃষকেরা দিল্লির রাস্তা এবং উত্তরপ্রদেশের সীমানা খালি করবেন না।’তিনি আরও বলেন, ‘ দিল্লিকে সব দিক দিয়ে আমরা ঘেরাও করে রাখব। যতক্ষণ না—আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ হচ্ছে, কৃষকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, তা প্রত্যাহার করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। এমনকী, দিল্লির সীমানায় আমরা মানুষকে জমায়েত করতে বলিনি। কিন্তু কৃষকদের অনুরোধ করেছি, যাতে তাঁরা একটা চোখ আন্দোলনের দিকে আরেকটা তাঁদের মাঠে রাখেন।ধরনার জায়গা শুধু আমাদের গ্রামে আর অলিগলিতে হবে। তবে যদি সরকার লকডাউন ঘোষণা করে, তাহলে আমরা সরকারের গাইডলাইন মেনে চলব। আন্দোলনকারীরা নিজেদের গ্রাম ও শহরে সেটা মেনে চলবেন।তিনি আরও বলেন, ‘ এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মিটিং হয়নি। কিন্তু এমন আরও বিভিন্ন বিষয় আছে যা কৃষকরা ভুগছেন। কিন্তু ক্রমাগত তাঁরা ধরনায় যোগ দেবেন।কৃষকদের আন্দোলনের কারণে অক্সিজেনের সরবরাহ, চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে অ্যামবুল্যান্সের যাতাযাতে বাধার প্রশ্নে রাকেশ বলেন, ‘ কৃষকদের আন্দোলন থেকে প্রতিহত করতে এই গুজব ছড়াচ্ছে সরকার। উল্টে কৃষকরা করোনা আক্রান্তদের সমস্ত ধরনের সাহায্য করছেন।যা সরকার করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ গত ৫ মাসে কোনও পরিবহণ, স্কুলভ্যান কিংবা জরুরী পরিষেবা কোনওটাই আটকায়নি কৃষকরা। উপরন্তু তাঁদের স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেদের এলাকায় করোনা রোগীদের সাহায্য করছেন।’এদিন ওই কৃষক নেতা হরিয়ানায় গম সংগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘ রাজ্যের সমস্ত মাণ্ডি ও শস্য বাজারগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এতে অধিকাংশ কৃষকেরা তাঁদের সামগ্রী কেনাবেচা করতে পারছেন না।’