🏅লকডাউনের প্রভাবে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। পাল্লা দিয়ে দেশে বেড়েছে বেকারত্বের হার। মার্চের শেষ সপ্তাহে বেকারত্বের হার ২৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য জানাল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)।
আরও পড়ুন : Coronavirus Update: আর্জি একাধিক রাজ্য-বিশেষজ্ঞের, ��আরও দু'সপ্তাহ ল🍰কডাউন বাড়ানোর ভাবনা কেন্দ্রের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। তার আগেই অবশ্য বিভিন্ন রাজ্য আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছিল। তার জেরে উর্ধ্বমুখী হয়েছে বেকারত্বের হার। সিএমআইই জানিয়েছে, মার্চের ২২-২৩ তারিখ যে সপ্তাহ শেষ হয়েছিল, সেই সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। আর গত ২৯ মার্চ যে সপ্তাহ শেষ হয়েছিল, তাতে বেকারত্বের হার একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৮ শতাংশ। সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে পূর্বাভাস দিয়েছিল, ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের❀ হার ৭.৮ শতাংশ থাকলেও পুরো মার্চে তা ৮.৭ শতাংশ হবে।
আরও পড়ুন : সংক্🍰রমণ রুখতে সমাজিক দূরত্ব মাপার করোনা ম্যাপ তৈরি করছে ফেসবুক
তবে ৫ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার কিছুট🉐া কমেছে। সিএমআইই জানিয়েছে, সেই সপ্তাহে বেকারত্বের হার ছিল ২৩.৪ শতাংশ। ৯,৪২৯ জনের উপর ভিত্তি করে এই গণনা করেছে সিএমআইই।
আরও পড়ুন : চাকরির বাজারে সাফল্য পেতে চান? জেনে নি꧒ন স্মার্ট CV লেখার টিপস
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত মার্চে দেশে কর্মসংস্থানের হার রেকর্ড ৩৮.২ শতাংশে নেমে গিয়েছে। বিষয়টিকে 'রেকর্ড পতন' হিসেবে চিহ্নিতে করেছে সিএমআইই। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, 'চলতি জানুয়ারি থেকে যে পতন হয়েছে, তা অত্যধিক - প্রায় অভাবনীয়। গত দু'বছর স্থি♍তিশীল থাকার ক্☂ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়ার পর চলতি বছর মার্চে তা মুখ থুবড়ে পড়েছে।'
অন্যদিকে, শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহণের হারও ৩৯ শতাংশ নেমে গিয়েছে। কর্মসংস্থানের হার মাত্র ৩০ শতাংশ নেমে এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহণের হার ছিল ৪২.৬ শতাংশ। যা মার্চে কমে দাঁড়ায় ৪১.৯ শতাংশ। এপ্রিলের শুরুতে তা আরও ধাক্কা খেয়েছে। গত ಌ১ থেকে ৫ ♐এপ্রিল পর্যন্ত দেশে শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহণের হার ৩৬ শতাংশ ও কর্মসংস্থানের হার ২৭.৭ শতাংশ ছিল। সিএমআইইয়ের তরফে জানানো হয়, এই প্রথম দেশে ৪২ শতাংশের নীচে নেমেছে শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহণের হার। একইসঙ্গে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯০ লাখ শ্রমিক কমেছে। সেই সময়ের মধ্যে চাকুরের সংখ্যা ৪১.১ কোটি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৬ কোটি। উলটোদিকে, বেকারের সংখ্যা ৩.২ কোটি বেড়ে হয়েছে ৩.৮ কোটি।
আরও পড়ুন : Post Office RD Rules: দেরিতে মাসিক𝔍 টাকা জমা দিলে জরিমানা✃ নয়