উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এক দম্পতির বিরুদ্ধে ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ। তাদের প্রতারণার জালে পড়েছেন ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, গৃহবধূ সহ অ🌳ন্য়ান্যরা। প্রায় ৪০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। তবে আপাতত ওই দম্পতি গা ঢাকা দিয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ওই দম্পতি মূলত সম্পত্তি কেনার জন্য লোভ দেখাত। তার🌳পর সেখান থেকে তারা চম্পট দিত। এদ🎀িকে ওই প্রতারকদের সন্ধান পেতে ইতিমধ্যেই একাধিক পুলিশ টিম তৈরি করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের𝄹 প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ওই সংস্থার নাম নিহারিকা ভেঞ্চার্স। অভিষেܫক দ্বিবেদী, তার স্ত্রী নিহারিকা ও তার বাবা ওম প্রকাশ এই গোটা প্রতারণা চক্রটা চালাত বলে অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
ও♉ই অভিযুক্তরা বছর দুয়েক আগে একটি কোম্পানি খুলেছিল। এরপর তারা লোভ দেখাতে শুরু করে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে বিরাট লাভ হবে বলে লোভ দেখানো হয়। এদিকে জেলার বিভ⛎িন্ন প্রান্তে বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তি দেখানো হত।
দু বছরের বেশি সময় ধ🌳রে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ এখানে বিনিয়োগ করেছে। তারা আবার তাদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনকে বিনিয়োগ করার জন্য় উৎসাহ দিতেন। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অন্তত ২২১জন প্রতারিত ব্যক্তিরা পুলিশের কাছে এসে অভিযোগ জানিয়ে🐟ছেন। প্রায় ৪০০ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সব মিলিয়ে বিরাট অঙ্কের প্রতারণা। মানুষের কষ্🌼ট করে আয় করা টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই দম্পতি।
তবে এই প্রতারণার মাঝপথে একটা বড় খেলা খেলেছিল ওম প্রকাশ। তিনি গত ৬ জুন আচমকা বলতে শুরু করেন যে ওম প্রকাশ তার পুত্র অভিষেককে তার সম্পত্তির অংশ থেকে বের করে দিয়েছে। ওম প্রকাশ এরপর বিনিয়োগকারীদের বলতে শুরু করেন যে অভিষেক পালিয়ে গিয়েছে। এরপর থেকেই বিনিয়োগকারীদের সন্দেহ হতে শুরু করে। তারা বুঝতে পারেন যে অভিষেককে আড়াল করার জন্য় ওম প্রকাশ এই সব কথা বলতে শুরু করেছেন। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় বিনিয়োগকারীরা। সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে লোকজন এখানে বিনিয়োগ করেছিলেন। কষ্টের টাকা তারা ওই বিনিয়োগকারীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের সেই টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই দম্𝓀পতি। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই দম্পতির খোঁজ চালাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।